জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- অহমেদাবাদে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায় ৫,৪০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এদিন জনসভায় তিনি অপারেশন ‘সিন্দূর’, বিশ্ব অর্থনীতি, স্বদেশী উদ্যোগ এবং কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ বিশ্বে অর্থনৈতিক স্বার্থের রাজনীতি চলছে। সবাই কেবল নিজের লাভের চিন্তায় ব্যস্ত। তবে আমাদের সরকার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষক ও পশুপালকদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতই চাপ আসুক, আমরা তা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করব।”
মোদি জানান, দেশে বর্তমানে গণেশ উৎসবকে ঘিরে দুর্দান্ত উৎসাহ বিরাজ করছে। একইসঙ্গে তিনি বর্ষায় গুজরাটসহ দেশের নানা অঞ্চলে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা হয়েছে, তার শিকার পরিবারগুলির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে কাজ করছে বলেও আশ্বস্ত করেন।
তিনি গুজরাটকে “দুই মোহনের ভূমি” বলে উল্লেখ করেন— একদিকে সुदর্শনচক্রধারী শ্রীকৃষ্ণ, অন্যদিকে চরখাধারী মহাত্মা গান্ধী। মোদি বলেন, শ্রীকৃষ্ণ ন্যায় ও সুরক্ষার প্রতীক ছিলেন, আর মহাত্মা গান্ধী স্বদেশীকে ভারতের সমৃদ্ধির পথ হিসেবে দেখিয়েছিলেন।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “আজ সন্ত্রাসবাদী বা তাদের মদদদাতাদের আমরা ছাড়ি না। পাহেলগামের হামলার জবাব ২২ মিনিটের মধ্যে কীভাবে দেওয়া হয়েছিল, তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। অপারেশন ‘সিন্দূর’ আমাদের সেনার শৌর্য ও শ্রীকৃষ্ণের ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতীক।”
কংগ্রেসকে skewer করে মোদি বলেন, “দশকের পর দশক তারা মহাত্মা গান্ধীর নাম ব্যবহার করে ক্ষমতায় থেকেছে। কিন্তু বাপুর স্বপ্ন—স্বচ্ছতা ও স্বদেশীকে তারা কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। ৬০ বছরের বেশি সময় দেশ চালিয়েও কংগ্রেস ভারতকে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল রাখল, যাতে আমদানি করে দুর্নীতি চালানো যায়। আজ ভারত আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গুজরাট আজ দেশের রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ যোগান দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য শক্তি, গ্রীন এনার্জি, পেট্রোকেমিক্যাল, ইভি ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে গুজরাট দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন শিল্পের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। গত দুই দশকে গুজরাটের সংযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তিত হয়েছে।
মোদি জানান, সাবরমতী আশ্রমের নবায়ন কার্যক্রম এগোচ্ছে দ্রুত। এটি বিশ্বে শান্তির সবচেয়ে বড় প্রেরণাক্ষেত্র হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানান, “আমাদের উৎসব শুধু সংস্কৃতির নয়, আত্মনির্ভরতার উৎসবও হওয়া উচিত। যা কিনব, তা দেশীয় পণ্য হতে হবে। ব্যবসায়ীরাও দোকানে বোর্ড টাঙাবেন—‘এখানে কেবল স্বদেশী পণ্য বিক্রি হয়।’
তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরই জিএসটি-তে ছাড় দেওয়া হবে, যাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হন। বহু জিনিসে কর কমানো হবে। “এই দীপাবলিতে দেশবাসী পাবে খুশির ডাবল বোনাস।” বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave feedback about this