জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- কয়েক বছরে গোটা রাজ্য নেশায় ডুবে আছে। যুব সমাজ নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের অনেককে পরিবারের লোকজন সুস্থ করে তুলতে বেসরকারি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ সেই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে আরও বড় সমস্যায় পড়ছে নেশা আক্রান্তরা। অভিযোগ নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে চলছে অকথ্য নির্যাতন নেশাক্রান্ত যুবদের উপরে।
এই অবস্থায় বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দেন চারটি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের তরফে এক প্রতিনিধি দল।ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন,উপজাতি যুব ফেডারেশন, ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ও উপজাতি ছাত্র ইউনিয়নের তরফে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।বাম ছাত্র যুব নেতৃত্বের অভিযোগ রাজ্যের প্রতিটি অলিগলিতে নানা ধরনের নেশা সামগ্রী বিক্রি চলছে রমরমিয়ে।
এমনকি স্কুলগুলির সামনে বিভিন্ন ধরনের নেশা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। কম বয়সি ছেলে-মেয়েরাও তাতে আসক্ত হচ্ছে।পরিবার, সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন কঠোর পদক্ষেপ নেই। এই অবস্থায় নেশার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি বাম চারটি ছাত্র-যুব সংগঠনের।তারা দাবি জানায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের উদ্যোগে ব্যাপক ভাবে জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচী গ্রহন করার।
এদিন যুব নেতৃত্ব অভিযোগ করেন নেশা মুক্তির নামে চলছে লুট বানিজ্য।নেশা মুক্তি কেন্দ্রগুলিতে সরকারি নিয়ম অনুসারে যেসকল পরিষেবা থাকার কথা তার কোন কিছুই নেই। বরং তার উল্টো চলে অকথ্য মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন। ইতিমধ্যে নেশা মুক্তিকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অনেকের অকথ্য মানসিক ও শারিরীক আক্রমনের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে প্রতিটি নেশা মুত্তি কেন্দ্র কঠোর ভাবে প্রশাসনের নজরদারি রাখা, কোন নেশা মুক্তি কেন্দ্রে কোন কোন চিকিৎসক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, কাউন্সিলর, নার্স, আয়া পরিষেবায় যুক্ত আছে তাদের নাম, ফোন নম্বর অবশ্যই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে আসা আক্রান্তের পরিবারের কাছে দেওয়ার। এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুব নেতা নবারুণ দেব, জয়দ্বীপ রাউত, কুমুদ দেববর্মা, ছাত্র নেতা সন্দীপন দেব, সুজিত ত্রিপুরা সহ অন্যরা।
Leave feedback about this