জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বেপরোয়াগামী যান চলাচলের জন্য আবারো পথের বলি হলেন তরতাজা দুই যুবক। নম্বর বিহীন সুজুকি গাড়ি ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকদের। ঘটনা রবিবার গভীর রাতে রাজধানী আগরতলার উড়ালপুলে। মৃত দুই যুবকের নাম সুবীর দাস ও বিশ্বজিৎ পাল। তাদের বাড়ি আগরতলা শহরতলী বলদাখাল ও আনন্দনগর এলাকায়। ঘটনার বিবরনে জানা যায় ও এন জি সি এলাকায় বন্ধুর বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইকে করে উড়ালপোল দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ২২ বছরের সুবীর দাস ও ২৫ বছরের বিশ্বজিৎ পাল। গভীর রাত হওয়ায় উড়ালপুল ফাকা থাকার সুবাদে বাইকের গতিবেগ ছিল অনেকটাই বেশি। এর মধ্যেই উড়ালপুলের মাঝামাঝি এলাকায় বিপরীতমুখী একটি নম্বর বিহীন সুজুকি গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকটির। আর এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালক ও আরোহী সুবির ও বিশ্বজিৎ এর। উড়ালপুলে বাইক ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা। তারা ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুবীর ও বিশ্বজিৎকে সহ চার চাকার গাড়ির ড্রাইভার ও এক যাত্রীকে উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সুবীর ও বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যায় গাড়ির চালক ও যাত্রী। তবে দুর্ঘটনা পর বাইকটির যা অবস্থা লক্ষ্য করা গেল, তাতে নিশ্চিত বাইকটি অস্বাভাবিক গতিতেই ছিল এবং বন্ধুর বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে যেহেতু দুই যুবক ফিরছিলেন, তাই তারা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালাতে গিয়ে উড়ালপুলে তরতাজা দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নেমে আসে শোকের ছায়া। একই সাথে এখন উঠতে শুরু করেছে উড়ালপুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নও। এই উড়ালপুলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। রাতের বেলা তো বটেই, দিনের বেলাতেও নেই এই উড়ালপুলে কোন টহলদারির ব্যবস্থা। তাই পুলিশি নজরদারি না থাকার ফলেই একের পর এক ঘঠছে অনাকাঙ্ক্ষিত এধরনের ঘটনা। নতুন করে দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যুতে আবারো যেন উড়ালপুলের নিরাপত্তায় প্রশাসনিক গলদ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এদিকে রাতেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেলেন মৃত দুই যুবকের পরিবারের লোকজন। এছাড়া নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকার তরুণ যুবকের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার সকালে হাসপাতালে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তীও। মর্মান্তিক এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি। দুপুরের দিকে মৃত দুই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পূজোর মুখে এভাবে উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় তরুণ দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বলদাখাল ও আনন্দনগর এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
Leave feedback about this