2025-11-04
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য

গণতন্ত্র রক্ষায় বিচারব্যবস্থা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম: আগরতলায় মিডিয়া কর্মশালায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- আগরতলা প্রেস ক্লাবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মিডিয়া কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা। মঙ্গলবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচারব্যবস্থা ও গণমাধ্যম—এই দুই স্তম্ভ ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  

তিনি বলেন, “গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। ভারতের সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সমাজব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্যম সমাজের ‘ওয়াচডগ’ হিসেবে কাজ করে। সমাজে যদি অন্যায়, দুর্নীতি বা অবিচার ঘটে, তা সংবাদমাধ্যমই সামনে আনে। সরকার দায়িত্বে বিচ্যুত হলে গণমাধ্যমই সেই বিষয়টি জনগণের সামনে প্রকাশ করে।”

তিনি জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলির ভিত্তিতে নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নিয়মিতভাবে সংবাদমাধ্যমে উত্থাপিত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে বহু সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে।”

রাজ্যের দুই সাংবাদিক হত্যার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। দোষীদের কেউই রেহাই পাবে না।”

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কার্যনির্বাহী সচিব অপুর্ব রায় বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সাংবাদিকদের কল্যাণে এবং তাঁদের পেশাগত মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই কর্মশালা সেই উদ্যোগেরই অংশ।”

আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার বলেন, “প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এ ধরনের কর্মশালা আয়োজন করা হচ্ছে, যা সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।” তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রবণতার দিকেও সতর্ক করেন।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পরিচালক বিম্বিসার ভট্টাচার্য স্বাগত ভাষণে জানান, তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সাতজন রিসোর্স পারসন বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। রাজ্যের ৩৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী এতে অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংবাদিক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সৌমিত্র বিজয় ভট্টাচার্যকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে।

 

 

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service