জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে বনসম্পদ রক্ষার দায়ভার যাদের কাঁধে, সেই বন দপ্তর নিয়েই উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। বিভিন্ন মহলের দাবি— বনরক্ষী ও দপ্তরের কিছু
কর্মকর্তার অজ্ঞাতসারে নয়, বরং যোগসাজশের ফলেই প্রতিদিন বনাঞ্চল থেকে মূল্যবান কাঠ পাচার হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে খোয়াইয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা এই অভিযোগকে ফের উসকে দিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেদিন রাতে খোয়াই-মোহনপুর-আগরতলা জাতীয় সড়কের বেলফাওয়ার নাকা পয়েন্টে নিয়মিত তল্লাশি চালাচ্ছিল খোয়াই থানার পুলিশ। সেইসময় আগরতলার দিক থেকে আসা একটি লরি থামার নির্দেশ উপেক্ষা করে দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ধাওয়া চালিয়ে বাইজালবাড়ী থানার সামনে ব্যারিকেড বসিয়ে লরিটিকে আটক করে।
তল্লাশিতে মেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আশি ফুট মূল্যবান কাঠ। ঘটনাস্থল থেকেই লরির চালকসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাঠগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এই ঘটনায় বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ— নিয়মিত এমন কাঠ পাচারের ঘটনা ঘটলেও বন দপ্তর প্রায় নিশ্চুপ থাকে। বরং একাংশ কর্মকর্তার সঙ্গে পাচারচক্রের আঁতাতের অভিযোগও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আটক লরি ও কাঠ বাজেয়াপ্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়— সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ কাঠ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ছে, কিন্তু বনাঞ্চল ক্রমেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন কাগজে-কলমে কড়া পদক্ষেপের কথা বললেও বাস্তবে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য যেন বেড়েই চলেছে।
Leave feedback about this