2024-11-10
agartala,tripura
খেলা

লা লিগার দৌড়ে রিয়ালকে অনেকটা পিছনে ফেলল জাভির দল

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- রবিবার, ১৯ মার্চ লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্ব ফুটবলের ভাষায় যে ম্যাচটি এল ক্লাসিকো নামেই বিখ্যাত। সেই ম্যাচে ২-১ গোলের জয় পেল বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটির হয়ে গোল করলেন সার্জিও রবার্তো এবং ফ্রাঙ্ক কেসি। আর রিয়াল মাদ্রিদ যে গোলটি পেয়েছে, সেটি ছিল রোনাল্ড আরাজোর আত্মঘাতী গোল।শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত রিয়াল মাদ্রিদকে। জয় ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের সামনে অন্য কোনও বিকল্প ছিল না। আগে গোল পেয়ে এগিয়েও গিয়েছিল আনচেলত্তির ছেলেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। ঘুরে দাঁড়াল বার্সেলোনা, প্রথমে সমতা ফেরাল, পরে যোগ ব্যবধান বাড়িয়ে ২-১ গোলে জিতে নেয় এল ক্লাসিকো।শুরুটা ভালো করেছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বাঁ প্রান্ত থেকে ব্রাজিলের তারকা উইঙ্গার ভিনিসিউসের আক্রমণে কিছুটা এলেমেলো হয়ে যায় বার্সার রক্ষণভাগ। ভিনির শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো ফাঁদে পড়ে যান জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। ভিনিসিউসের সেই শট রোনাল্ড আরাজোর মাথায় লেগে বল ঢুকে পড়ে নিজেদের জালেই। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে ব্যস্ত করে ফেলেন বার্সেলোনা খেলোয়াড়েরা। কোর্তোয়া অবশ্য ভালোই সামলে গেছেন। কিন্তু খেলার এই ধারার বিপরীতে গিয়ে প্রথম গোলটা পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল।পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ম্যাচে ফেরার। কিন্তু ৩২ মিনিটে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেন ও ৩৪ মিনিটে রাফিনিয়ার দুটি ভালো চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কোর্তোয়া। তবে বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজকে হতাশা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয়নি। এর আগেই ৪৫তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের ডি-বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বার্সার একাধিক শট ফিরে আসার পর সার্জি রবার্তোর পায়ে যায় বল। এবার আর তাঁর শট ঠেকাতে পারেননি কোর্তোয়া। ম্যাচে ১-১ সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।বিরতির পরও খেলায় আধিপত্য ধরে রাখে বার্সা। তবে লেওয়ানডস্কি আর রাফিনিয়ারা সুযোগ নষ্ট করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি বার্সার। সুযোগ অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদও পেয়েছে। তবে ৭৯ মিনিটে করিম বেঞ্জেমার শট আটকে দিয়েছেন টের স্টেগেন। এর দুই মিনিট পরে তো মার্কো আসেনসিও বার্সার জালে বল পাঠিয়ে উদযাপনও করে ফেলেন সতীর্থদের নিয়ে। তবে ভিএআর অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় সেই গোল।মাদ্রিদের খারাপ ভাগ্য বলতে হয়, কারণ এই সময়ে তাদের গোল তো বাতিল হয়েছিলই সঙ্গে গোল হজম করতে হয় তাদের। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে সার্জি রবার্তোর বদলি নেমেছিলেন ফ্রাঙ্ক কেসি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনিই হয়ে গেলেন বার্সার নায়ক। রবার্ট লেওয়ানডস্কির দারুণ এক ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে অ্যালেক্স বালদে পাস বাড়ান কেসির দিকে। বল জালে পাঠাতে কোনও ভুল করেননি কেসি। তারপর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদযাপন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ওই গোলটা যে লা লিগার ট্রফিটা প্রায় তাদের হাতে এনে দিয়েছে, সেটা তারাও জানতেন।বার্সার এই জয়ে লা লিগার শিরোপার লড়াইও কার্যত শেষই বলে দেওয়া যায়। আপাতত ২৬ ম্যাচ শেষে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ দুই নম্বরে রয়েছে। কাগজে কলমে এখনও রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে বার্সেলোনাকে ধরা সম্ভব। কিন্তু এই ১২ পয়েন্টের ব্যবধান মিটিয়ে শেষ পর্যন্ত যদি রিয়াল মাদ্রিদ এই মরশুমে লা লিগার শিরোপা জিতে যায়, সেটা রূপকথার গল্পের মতোই হতে পারে।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service