জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- খুব শীঘ্রই কৈলাসহরবাসী তথা গোটা অবিভক্ত উত্তর জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে! ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত কৈলাসহর বিমানবন্দরটিকে পুনরায় সংস্কার করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তর। আজ দুপুরে কৈলাসহর বিধানসভার বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক মবস্বর আলি, ত্রিপুরা সরকারের পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, ঊনকোটি জেলার জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, আগরতলা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাস চন্দ্র মীণা, টিআরটিসি এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজল বিশ্বাস, কৈলাসহর মহকুমার মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ঊনকোটি জেলার সার্কিট হাউজের কনফারেন্স হলঘরে এক উচ্চস্তরীয় বৈঠকে পৌরহিত্য করেন ত্রিপুরা সরকারের পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সারা দেশে যে সমস্ত বিমানবন্দরে বর্তমানে পরিষেবা নেই, সেগুলির মানোন্নয়ন ঘটিয়ে পরিষেবা পুনরায় চালু করতে উড়ান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিতে আঞ্চলিক পর্যায়ে বিমান যোগাযোগ পরিষেবার প্রসার ঘটানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিষয় নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আমাদের রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা-জী। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজ্যে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির জোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত সম্প্রসারণে যুগান্তকারী বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যবাসী আজ তার সুফল ভোগ করছে। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই কৈলাসহরের এয়ারপোর্টের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে পুরাতন এয়ারপোর্টের সংস্কার করে বিমান পরিষেবা শুরু হবে। ঊনকোটি জেলার এই কৈলাসহর বিমানবন্দর ফের চালু হলে এখানের পর্যটন শিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে। এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
জানা গিয়েছে
খুব শীঘ্রই এয়ারপোর্টের উত্তর অংশের সাতশো মিটার জমি অধিগ্রহণ করে বাইশটি পরিবারকে পুনর্বাসন দিয়ে রানওয়ে দীর্ঘ করার কাজ শুরু হবে৷ বর্তমান এয়ারপোর্টের পশ্চিম দিকে সত্তর মিটার জায়গা অধিগ্রহণ করে এয়ারপোর্ট অথরিটির অফিস এবং গাড়ি রাখার পার্কিং স্থান গড়ে তোলবে৷ চালুর আগে জমি অধিগ্রহণ করে প্রথমেই যেসব জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল নেই সেসব জায়গায় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করা হবে৷ এয়ারপোর্টের দক্ষিণ দিকে মনু নদী থাকার ফলে দক্ষিণ দিকে রানওয়ে বাড়ানো যাবে না৷ যারফলে এয়ারপোর্টের উত্তর দিকেই জমি অধিগ্রহণ করে রানওয়ে বাড়ানো কাজ শুরু হবে৷
Leave feedback about this