জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা রাজ্যের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। এজন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষকগণ হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। তাদের অবস্থার উন্নতি হলে রাজ্য তথা দেশ এগিয়ে যাবে। আজ মোহনপুর ব্লকের ঈশানপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নন্দলাল দাস পাড়ায় শ্রী পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধান রোপনের সূচনা করে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর থেকেই কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে বর্তমানে ভারত চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চাল রপ্তানীতে রয়েছে এক নম্বর স্থানে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায়ও কৃষকদের জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ধান চাষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ১৫ লক্ষ কানি জমিতে বছরে ধান চাষ হয়। এর মধ্যে ৮৭ হাজার কানি জমিতে আউস ধানের চাষ করা হয়েছে। ৯ লক্ষ ১৮ হাজার কানি জমিতে চাষ হয়েছে আমন ধানের। ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার কানি জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ৮৫ হাজার কানি জমিতে জুম চাষ করা হয়।
তিনি বলেন, রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে এ মুহুর্তে ৩০টি ব্লক খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ৮টি জেলার মধ্যে ৩টি জেলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাজ্যে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কৃষকগণ শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে প্রতি কানিতে ৮০ কেজি বেশি ধান উৎপাদন করতে পারবেন। শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ধানের চারা রোপনের কর্মসূচিতে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ নিজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ধানের চারা রোপন করেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার দাস, মোহনপুর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন শঙ্কর দেব, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ।
Leave feedback about this