জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে পুর পরিষদ এলাকায়। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন। শুক্রবার গভীর রাত আনুমানিক ৩ টা নাগাদ আচমকা প্রচন্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। কৈলাসহর পুর পরিষদ এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ড যেমন দুর্গাপূর,উত্তর কাচেরঘাট,ফরেস্ট অফিস রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কারোর ঘর ভেঙে গেছে তো কারো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে পুর পরিষদ এলাকার সম্পূর্ণ ক্ষয় ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন পশ্চিম গোবিন্দপুরের দুই মৃৎ শিল্পী ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৃৎ শিল্পী প্রসেনজিত দাস জানান অনেকগুলো মূর্তি তৈরীর অর্ডারও তাঁর কাছে ছিলো। যা তৈরী করে ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন দোকানেই রাখা ছিলো। কিন্তু শিলাবৃষ্টি ও ঝড় তুফানের ফলে বড় দুটি গাছ উনার প্রতিমা তৈরির ঘরের উপরে পড়ে প্রায় সবগুলো মূর্তি সহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে যায়। ঘরটি ভেঙে পড়ে। তিনি জানান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় দুই- তিন লাখ টাকা।
একই অবস্থা মৃৎ শিল্পী সুব্রত পালের। তিনি জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে উনারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সকালে খবর পেয়ে পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় ও ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে উনার দোকান পরিদর্শন করে গেছেন। এছাড়াও ঝড়ে ফরেস্ট অফিস রোড ছাড়াও কৈলাসহর মহকুমা শাসক অফিস সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের বিপরীত দিকে পুরোনো একটি গাছ ঝড়ের ফলে দোকানের উপর পড়ে যায়।এদিকে খবর পেয়ে শনিবার সকালেই এলাকা পরিদর্শনে বের হন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়।
তিনি জানান বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে পড়ে গেছে,কারোর ঘরের ছাঁদ ভেঙে গেছে আবার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ী সহ অনেকেই। গোটা বিপর্যয়ের বিষয় গুলো বিভিন্ন পুর এলাকা ঘুরে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন। এই বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার,ব্যবহায়ী সহ অন্যান্যদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন হয়েছে বলে জানান।
Leave feedback about this