জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ঘোড়া কেনাবেচা, নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া, দলবদল। গত পৌনে ১০ বছরের মোদি রাজত্বে এই শব্দগুলি বড্ড বেশি শোনা গিয়েছে। একাধিক রাজ্যে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচিত বিধায়করা দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এমনকী গোটা সরকারই রাতারাতি বদলে যেতে দেখা গিয়েছে। অমিত শাহ বলেন,কংগ্রেস বিধায়করা চিনা পণ্যের মতো। ভরসা করা যায় না। যে কোনও সময় দল বদলে ফেলতে পারেন।এই মুহূর্তে তেলেঙ্গানায় ভোটপ্রচারে অমিত শাহ । তাঁর বক্তব্য, তেলেঙ্গানায় বিআরএস তথা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিকল্প হতে পারে শুধু বিজেপি কংগ্রেস নয়। কারণ কংগ্রেসের পক্ষে নিজেদের দলের বিধায়কদের ধরে রাখাও সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন,’কংগ্রেস বিধায়করা আসলে চিনা পণ্যের মতো। যে কোনও সময় বিআরএসে যোগ দেবে।শাহের অভিযোগ, বিআরএস এবং কংগ্রেসের মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি হয়েছে। কংগ্রেস চাইছে তেলেঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওকে (KCR) মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসাতে। বদলে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে রাহুল গান্ধীকে বসাতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুই দল নিজেদের মধ্যে আঁতাঁত করে চলছে। শাহের দাবি, দরকার পড়লে কংগ্রেসের বিধায়করা বিআরএসে যোগ দিয়ে চন্দ্রশেখর রাওকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেবেন।
মজার কথা হল, কংগ্রেস বিধায়কদের দলবদলের কিসসা যিনি শোনাচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি দল বদল করানোর অভিযোগ ওঠে। রাজনীতির কারবারিদের কেউ কেউ বলছেন, কংগ্রেস বিধায়করা কতটা সস্তা শাহ তো সেটা জানবেনই।
Leave feedback about this