জনতার কলম, আগরতলা প্রতিনিধি:- “ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা ও শক্তির প্রতীক সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা,” — রবিবার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ইউনিটি মার্চ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। স্বাধীন ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও ‘আয়রন ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিত এই মহান নেতার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্য যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা সর্দার প্যাটেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। বৈদিক সংস্থার শিল্পীরা বন্দেমাতরম পরিবেশন করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী ইউনিটি মার্চের অংশগ্রহণকারীদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সবুজ পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার সূচনা করেন।
উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিস্কু রায়, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমারসহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, টিএসআর জওয়ানরা, এনসিসি ও এনএসএস ক্যাডেট, বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন মহলের মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সর্দার প্যাটেল ছিলেন ভারতের ঐক্যের স্থপতি। স্বাধীনতার পর তিনি ৫৬২টি রাজন্যশাসিত অঞ্চলকে ভারতের সঙ্গে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের ফলেই আজ আমরা এক অভিন্ন ভারত দেখতে পাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ৩১ অক্টোবর দিনটিকে ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ২০১৮ সালে গুজরাটের নর্মদা নদীর তীরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ উদ্বোধন করেন, যা সর্দার প্যাটেলের আদর্শের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধার নিদর্শন।
মুখ্যমন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই মিলে এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার অঙ্গীকার করি। ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমই ভারতের প্রকৃত শক্তি।”
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিস্কু রায় নেশামুক্ত ভারত ও নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার শপথ বাক্য পাঠ করান। সমগ্র অনুষ্ঠান জুড়ে দেশাত্মবোধ, ঐক্য ও সৌহার্দ্যের আবহে মুখরিত ছিল উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ থেকে হাঁপানিয়া পর্যন্ত পথ।





Leave feedback about this