জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ককবরক ভাষায় রোমান হরফ ব্যবহারের দাবিতে এবার ময়দানে সরাসরি নামতে চলেছে তিপরা মথা। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জাতীয় সড়ক অবরোধে দুর্ভোগ চরমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার ককবরক ভাষায় রোমান হরফ এবং সড়ক অবরোধ ইস্যুতে প্যান্ট খোলে দেওয়ার হুমকি মথা নেতৃত্বের। বললেন আগরতলা, গোল বাজারের দুই তিনটি গাড়ি আটকে দিলেই ওদের প্যান্ট খুলে যাবে। আমবাসায় সরাসরি এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন টিপরা মথার নেতৃত্ব।
ওদের বলতে তিনি পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকেই এই হুঁশিয়ারি দেন বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত। কারণ মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্য সরকারের প্রধান। প্রদ্যুতের এক ইশারাতেই অনির্দিষ্ট কালের জন্যে পথ অবরোধে বসে পড়বেন টিপরা মথার এই নেতা কর্মীরা। শনিবার আমবাসার বাগমারায় দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন তারা। তারপর পাথরবাড়ি এ ডি সি ভিলেজে অবরোধে বসার জায়গাটি পরিদর্শন করেন তারা।
শোনে নিন ঠিক কি ভাষাতে হুমকি দিয়েছেন তারা। তবে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের নীরবতা নিয়ে। প্রদ্যোতের নির্দেশ মিললেই রবিবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জাতীয় সড়ক অবরোধে বসবে তিপরা মথা। শনিবার ধলাই জেলা সদর আমবাসায় কাঁঠালবাড়ি এলাকায় অবরোধস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এমনটাই হুশিয়ারী দিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ রিয়াং।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদীপ বলেন, দীর্ঘদিন দিন ধরে ককবরক ভাষায় রোমান হরফে ব্যবহারের দাবি জানানো হচ্ছে। বামফ্রন্ট সরকার কখনোই এই দাবিকে পাত্তা দেয়নি। দূর্ভাগ্যবশত বর্তমানে সরকার রহস্যজনক কারনে এই ব্যাপারে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এদিকে শুক্রবারের পর শনিবারও বড়মুড়ার পাদদেশে টিএসএফ নেতা কর্মীদের অবরোধ অব্যাহত ছিল।
সেখানে প্রায় ২৫ কিলোমিটার জায়গা ধরে রাস্তার পাশে সারি সারিভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ছোট, মাঝারি যানবাহনসহ পণ্যবাহী শতাধিক লরি। এই অবরোধের জেরে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। তাদের খাওয়া দাওয়া তো দূরের কথা জলও মেলেনি।
Leave feedback about this