2025-07-21
Ramnagar, Agartala,Tripura
দেশ

অপেক্ষার অবসান! মঙ্গলবার প্রথম দফায় ‘অ্যাপাচে’ আসছে ভারতীয় সেনার হাতে

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ১৫ মাসেরও বেশি দেরি হওয়ার পর অবশেষে ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে আমেরিকার তৈর অ্যাটাক হেলিকপ্টার অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই। পশ্চিম সীমান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সেনার যুদ্ধ-সক্ষমতা আরও মজবুত করতে এই হেলিকপ্টার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল। সূত্রের খবর, ২২ জুলাই ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কর্পসের হাতে তুলে দেওয়া হবে প্রথম তিনটি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার।

২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই করেছিল ভারতীয় সেনা। মোট ছ’টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন ঠিক ছিল, ২০২৪-এর মে-জুন মাসের মধ্যেই হেলিকপ্টার ডেলিভারি হয়ে যাবে। কিন্তু পরপর বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যা, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ শৃঙ্খলে ঘাটতির জন্য সেই ডেলিভারির সময়সীমা পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২০২৪-এর ডিসেম্বরে।

প্রথমে ঠিক ছিল, দুই দফায় তিনটি করে মোট ছ’টি হেলিকপ্টার পাঠাবে আমেরিকা। সেই অনুযায়ী, দ্বিতীয় ব্যাচের হেলিকপ্টার আসার কথা পরে। কিন্তু প্রথম ব্যাচ এখনও পর্যন্ত ভারতে এসে পৌঁছয়নি। ফলে যুদ্ধপ্রস্তুতিতে বড়সড় ফাঁক থেকে যাচ্ছিল। এ বছরের মার্চ মাসে জোধপুরের নাগতালাওয়ে অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন গঠন করে সেনা। পাইলট ও গ্রাউন্ড স্টাফদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হেলিকপ্টার হাতে না থাকায় এতদিন সেই স্কোয়াড্রন ছিল শুধুই কাগজে কলমে। এখন অ্যাপাচে এসে

পৌঁছলে সজ্জা সম্পূর্ণ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। উল্লেখ্য, অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যাটাক হেলিকপ্টার। দুরন্ত গতি, নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানার ক্ষমতা এবং আধুনিক টার্গেটিং সিস্টেম সব মিলিয়ে এই হেলিকপ্টার সেনাবাহিনীর জন্য এক অমূলা সম্পদ।

এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনা ২০১৫ সালের আলাদা একটি চুক্তির অধীনে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী এই ছ’টি হেলিকপ্টারের জন্য অপেক্ষা করছিল। এই অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি মূলত গ্রাউন্ড অ্যাটাক এবং ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হবে।

বর্তমানে সেনার অ্যাভিয়েশন কর্পসে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ধ্রুব। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কোস্ট গার্ডের একটি এএলএইচ দুর্ঘটনায় পড়ায় ধ্রুবের ব্যবহার কিছু সময়ের জন্য স্থগিত ছিল। পরে পহেলগাম হামলার পর নিরাপত্তার খাতিবে সীমিত অনুমতি দেওয়া হয় এই হেলিকপ্টার ব্যবহারের।

এ ছাড়াও সেনার কাছে রয়েছে রুদ্র (এএলএইচ-এর সশস্ত্র সংস্করণ), চেতক ও চিতা (গোয়েন্দা নজরদারি, লজিস্টিকস এবং উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত), লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (উঁচু এলাকায় হামলার জন্য), ডরনিয়ার ২২৮-এর মতো ফিক্সড উইং বিমান (রেকি ও যোগাযোগের জন্য), মি-১৭ হেলিকপ্টার (মিডিয়াম লিফট পরিবহন ও উদ্ধারকাজে), এবং হেরন ও সার্চারের মতো ইউএভি (গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত)।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service