জনতার কলম ত্রিপুরা, বিলোনিয়া প্রতিনিধি : রক্তাক্ত স্ত্রী। অভিযোগ হত্যার উদ্দেশ্যেই ব্লেইড দিয়ে স্ত্রীকে গলায় এবং বুকে আঘাত করে স্বামী তার স্ত্রীর উপর। বর্তমানে বিলোনিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিমলা দাস। ঠিক মতো কথা বলতে পারছেনা আহত বিমলা দাস। গত পরশু দিন অর্থাৎ সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বিলোনিয়া মহকুমাধীন ঋষ্যমুখ ব্লকের হরিপুর এলাকায়। আহত স্ত্রী চিকিৎসা সেরে স্বামী সুব্রত মালাকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে বলে জানা যায়।
তের বছরের আগে সুব্রত মালাকারের সাথে বিমলা দাসের সামাজিক রীতি নীতি মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিমলা দাসের স্বামীর বাড়ি ঋষ্যমুখ ব্লকের হরিপুর এলাকায়। বাপের বাড়ি সাব্রুম মহকুমাধীন মাধবনগর এলাকায়। বিমলা দাস দুই সন্তানের জননী। অভিযোগ পনের জন্য বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই বিমলা দাসকে মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা। মানসিক নির্যাতনের করতে করতে একসময় স্বামী সুব্রত নেশায় বুঁদ হয়ে ঘরে ফিরে এসে যে কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে মারধর শুরু করতে থাকে। এই বিমলা দাসের মা বাবা কেউ নেই। ভাই বোন আছে। ভাইয়ের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ বিমলার বড় বোনের। স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে বিমলা দাস ভাইকে বলার পর , ধারদেনা করে বোনের হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেয় বোনের খুশির জন্য। তারপরেও খাই মেটেনি লম্পট স্বামীর। এরপরেও পনের জন্য মানসিক দৈহিক অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে তুলল লম্পট স্বামী তার স্ত্রী বিমলার উপর। বিমলা মুখ বুঝে সহ্য করে ভাই বোনকে কিছুই জানায় নি। গত পরশু পনের বিষয় নিয়ে এবং টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্ত্রী বিমলাকে। তখন বিমলা সহ্য করতে না পেরে স্বামীর সাথে বাকবিতন্ডা করে,ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ে। অন্ধকারের সুযোগ পেয়ে স্ত্রী বিমলার উপর ব্লেড নিয়ে গলায় পোচ দিয়ে,বুকেও পোচ দিতে থাকে। চিৎকার চেঁচামেচি করতেই দুই সন্তান ঘুম থেকে জেগে উঠার পর স্বামী সুব্রত ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে বাপের বাড়ির লোকজনেরা চিকিৎসার জন্য আহতর মালা দাসকে ওই দিন রাতেই নিয়ে যায় ঋষ্যমুখ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেখান থেকে বিমলা দাসের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিলোনিয়া হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে আহত বিমলা দাস চিকিৎসাধীন।
অপরাধ
পনের জন্য ব্লেইড দিয়ে স্ত্রীকে গলায় এবং বুকে আঘাত স্বামীর
- by janatar kalam
- 2022-06-29
- 0 Comments
- Less than a minute
- 2 years ago
Leave feedback about this