2024-11-07
agartala,tripura
অপরাধ

সমাজদ্রোহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব বয়োজ্যেষ্ঠরা

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সমাজদ্রোহী , নেশা বিক্রেতা ও নেশাখোরদের স্বর্গ উদ্যানে পরিণত হয়েছে গোয়ালা বস্তি এলাকা। পিস্তল, কিরিচ, হেরোইন, গাঞ্জা সহ সমস্ত কিছু অবাধে বিক্রি করছে বস্তি এলাকার কতিপয় সমাজদ্রোহীরা। সবকিছু হচ্ছে পুলিশ আর সমাজদ্রোহির মিতালীতে। রাজধানীর এনসিসি থানার নাকের ডগায় অবস্থিত গোয়ালা বস্তিতে সমাজদ্রোহীদের আনাগোনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিবারাত্রি সর্বক্ষণ প্রকাশ্যেই চলছে পিস্তল আর ক্রিজের ঝলকানি।অবাধে বিক্রি হচ্ছে হেরোইন, গাঞ্জা পিস্তল সহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র। সমাজদ্রোহীদের উৎপাতে এলাকার সাধারণ মানুষ কখনোই অবাধে চলাফেরা করতে পারেনা। রাত্রিবেলা কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করলেও হুমকি ধমকির মুখে পড়তে হয় সমাজদ্রোহীদের। মনে হচ্ছে যেন তাদের কাছে কফিওত জারি করে সব সময় চলাফেরা করতে হবে। পুলিশ সাধারণ মানুষের চাপের মুখে আগ্নেয়াস্ত্র সহ পিস্তল ক্রিজ ইত্যাদি জিনিসপত্র দুই সমাজদ্রোহীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করলেও তাদেরকে আগাম জামিনে মুক্ত করে রাখে।ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সমাজ দ্রোহীরা সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ ও হুমকি ধমকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ রাহুল সিং ও শচীন রায় নামে দুই ব্যক্তি প্রতিনিয়ত বিহারে গাঁজা পাচার করছে বিনিময়ে বিহার থেকে পিস্তল কিরিজ ইত্যাদি আগ্নেয়াস্ত্র এনে আগরতলায় বিক্রি করছে।হেরোইন ড্রাগস , কফ সিরাপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি নানা ধরনের নেশা সামগ্রী অবাধে বিহার থেকে এখানে এনে বিক্রি করছে। যার ফলে পুরোপুরি ধ্বংসের মুখে বর্তমান যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার কুখ্যাত দুই সমাজ দ্রোহীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানার দ্বারস্থ হয় এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষরা। তাদের দাবি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে করে এ ধরনের দুনম্বরী কালোবাজারি বন্ধ হয়। এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন থানার দারোগাবাবু।সম্বিত ফিরেছে তাদের, এলাকাবাসীদের চাপের মুখে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের। প্রসঙ্গত সাধারন মানুষ যেখানে সক্রিয় রয়েছে সেখানে পুলিশের অতি সক্রিয়তা থাকলে এলাকা থেকে একেবারেই নির্মূল করা যেত নেশা বেপারী ও নেশা খোরদের। প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশ ডান হাত বাম হাতের বিনিময়ে এ ধরনের সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে মিতালী করে রয়েছে। কথায় আছে, রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে যায় তখন আর সাধারণ মানুষের উপায় থাকে না। বিষয়টির প্রতি নজর দিতে হবে রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service