2024-12-21
Ramnagar, Agartala,Tripura
অপরাধ

নেশার আতুর ঘরে হানা দিল পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত দে

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজধানীর নেশার আঁতুড়ঘরে হানা দিয়েছে পশ্চিম থানার পুলিশ। উদ্ধার প্রচুর পরিমাণ কফ সিরাপ। যা খেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে মৃত্যুর সিঁড়ি বেয়ে চলেছে যুবসমাজ। খুদ রাজধানীতেই ওদের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল জাতীয় নেশা সামগ্রী। রাজধানীর কর্নেল চৌমুহনী থেকে বিদুরকর্তা চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে চায়ের দোকানগুলোতে প্রচন্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছিল।সন্দেহ জেগেছিল পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত দের। তারপর থেকেই ওসি জয়ন্ত দে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে শুরু করলো চায়ের দোকান গুলির উপর। সোর্স লাগিয়ে জানতে পেরেছে এখানকার স্থানীয় একটি ওষুধের ফার্মেসিতেই শহরের যুবক-যুবতীরা অনায়াসে নেশা সামগ্রী সেবন করতে পারছে।এখান থেকে নেশাদ্রব্য কিনে নিয়ে চায়ের দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে হাতে তুলে নিচ্ছে মিষ্টি চায়ের পেয়ালা। নেশাখোরদের মতে কফ সিরাপ জাতীয় নেশা গুলি খেয়ে মিষ্টি চা পান করলে প্রচন্ড নেশা অনুভূত হয়। আর তার জন্যই সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত চায়ের দোকানগুলো সামনে দেখা যেত যুবক-যুবতীদের ভির। সোমবার নেশার আঁতুড়ঘর খুঁজে বের করতে পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর মিস্টার ডার্লং এবং সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত দাস দোকানে হানা দেয়। ঔষধের দোকানের ভিতরে কারি কারি নেশা সামগ্রী দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় দুই পুলিশ অফিসারের। এদিকে খবর পেয়ে ছুটে আসে এসডিপিও অজয় কুমার দাস ও ওসি জয়ন্ত দে।খবর পেয়ে গিয়ে হাজির হয় চিত্র সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রির জন্য ক্ষমা চান ফার্মিসির মালিক রতন সাহা। এ নিয়ে সদর এসডিপিও অজয় কুমার দাস জানান , উদ্ধারকৃত নেশাজাতীয় দ্রব্য সামগ্রীর কাউন্টিং চলছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দোকান মালিক রতন সাহাকে। পুলিশ এন ডিপিএস আইনে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। নেশা বিরোধী অভিযানে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশ যেভাবে তদদির হয়েছে। পুলিশের সেই অভিযান যদি অব্যাহত থাকে। তাহলে সহজেই সফল হবে নেশা বিরোধী অভিযান। গরে তোলা যাবে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service