জনতার কলম ওয়েবডেস্ক:- ভারতীয় সেনাবাহিনী শক্তি বাড়াতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করছে কেন্দ্র। সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়াতে কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক কপ্টার। তাই এবার অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার আসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে। ভারত আগামী ২১ জুলাই আমেরিকা থেকে অ্যাপাচে অ্যাটাক কপ্টারের প্রথম ব্যাচ হাতে পেতে চলেছে, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে ২০১৫ সালে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কিনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ২০২০ সালের জুলাই মাসে সেই হেলিকপ্টারগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসে। যখন ট্রাম্প ভারতে এসেছিলেন, তখন ৬০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ভারতের সঙ্গে, যার অধীনে ৬টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার কেনা হয়েছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা ১৫ মাস আগে রাজস্থানের যোধপুরে প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে। পাঠানকোট ও জোরহাটে ইতিমধ্যেই দুটি স্কোয়াড্রন সক্রিয় রয়েছে।প্রসঙ্গত উন্নত সামরিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল
হলেও আগামীতে এই ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে ফের সফল হবে, তা হলপ করা বলা সম্ভব নয়। কারণ শত্রুপক্ষ তাদের সামরিক অস্ত্রের বহর বাড়াচ্ছে। আসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমান থেকে শুরু করে আরও বেশি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন। সেজন্য ভারতকে এই সব অস্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র হাতে রাখতেই হবে। সম্প্রতি এমনই বার্তা দিয়েছেন ভারতের বর্তমান সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে দেশীয়ভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি বুধবার দিল্লিতে ‘ইউএভি এবং কাউন্টার-ইউএএস (সি-ইউএএস) সিস্টেম’ শীর্ষক এক প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘গতকালের অস্ত্র ব্যবহার করে আজকের যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়। ভারতকে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিধর হয়ে উঠতে গেলে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিতে আরও বেশি করে সাবলীল হয়ে উঠতে হবে।’
তাঁর কথায়, অস্ত্র ও যুদ্ধের রণনীতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি আধুনিক, সাশ্রয়ী ও বহুমুখী হয়ে উঠেছে। একসময় যুদ্ধ মানে বোঝাত ভারী রাইফেল, যা এখন হয়ে উঠেছে হাল্কা, দীর্ঘ পাল্লার এবং রাতেও ব্যবহারের উপযোগী। ট্যাঙ্ক, বিমান আগের চেয়ে আরও হালকা, দ্রুতগতি সম্পন্ন ও নিরাপদ হয়ে উঠেছে। একইভাবে ড্রোন ও কাউন্টার-ড্রোন প্রযুক্তিতেও আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।
Leave feedback about this