2025-08-25
Ramnagar, Agartala,Tripura
দেশ রাজনৈতিক

“সংবিধান রচয়িতারা কখনো ভাবেননি জেল থেকে সরকার চলবে”: অমিত শাহ

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক:- সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে নিজের অতীতের উদাহরণ টেনে এনে কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের অভিযোগ, সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় জেল খাটা অমিত শাহর নৈতিকতার প্রশ্ন রয়েছে। এর জবাবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, “যেদিন সিবিআই আমাকে সমন পাঠিয়েছিল, পরদিনই আমি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করি। পরবর্তীতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা দীর্ঘদিন চলেছে। আদালত রায়ে জানিয়েছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিশোধের মামলা ছিল এবং আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তারপরও আমি যতদিন না আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেলাম, ততদিন কোনো সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি।”

জামিন প্রসঙ্গে অমিত শাহর বক্তব্য,

বিরোধীদের প্রশ্ন, ন্যায়পাল আফতাব আলম নাকি শাহর বাড়িতে গিয়ে জামিন সংক্রান্ত কাগজে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে শাহ বলেন, “না, এমন কিছু হয়নি। জাস্টিস আফতাব আলম আমার বাড়িতে আসেননি। তবে তিনি বিশেষ শুনানি করেছিলেন এবং শর্তসাপেক্ষে আমাকে জামিন দেন। তখন আমার আইনজীবী প্রস্তাব করেছিলেন, জামিনের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি গুজরাটের বাইরে থাকব। সেই কারণে আমি দুই বছর রাজ্যের বাইরে ছিলাম। দেশের ইতিহাসে কোনো জামিন আবেদনের শুনানি এত দীর্ঘ হয়নি। সাধারণত ১১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, অথচ আমার ক্ষেত্রে দুই বছর ধরে শুনানি চলল।”

শাহ অভিযোগ করেন, বিরোধীরা এখন ১৩০তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মধ্যে জামিনের ৩০ দিনের সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাঁর দাবি, “আমার মামলাটি ব্যতিক্রম। সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত কোনো জামিন আবেদনের শুনানি ৫ দিনের বেশি চলে না।”

 

“জেল থেকে সরকার চালানো উচিত নয়”

অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতাদের ভাবনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাদের সংবিধান রচয়িতারা কোনোদিন ভাবতেও পারেননি যে একদিন কোনো মুখ্যমন্ত্রী জেলে থেকে সরকার চালাবেন। আদালতও জানে এই বিষয়টির গুরুত্ব। নতুন আইন অনুযায়ী যদি কোনো মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীকে ৩০ দিনের মধ্যে পদ ছাড়তে হয়, তবে তার আগেই আদালত ঠিক করবে তিনি জামিন পাবেন কি না।”

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “যখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে ছিলেন, তখন তাঁর উচিত ছিল পদত্যাগ করা। এমনকি উচ্চ আদালতও বলেছিল, কেজরিওয়ালের নৈতিকতার ভিত্তিতে পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু বর্তমান আইনে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”

 

শাহর কড়া মন্তব্য বিরোধীদের উদ্দেশে,

বিরোধীদের উদ্দেশে শাহ বলেন, “আমাকে তারা কোন নৈতিকতার পাঠ পড়াতে চাইছে? আমি সমন পাওয়ার পরদিনই পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। পুরোপুরি খালাস পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোনো সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। অথচ আজকের দিনে মুখ্যমন্ত্রীরা জেল থেকে সরকার চালাচ্ছেন। এটি সংবিধান রচয়িতাদের স্বপ্ন ছিল না।”

 

 

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service