জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে ত্রিপুরা সরকার। আগরতলায় একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ এবং গোমতী জেলায় একটি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক মোট ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য সোমবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাজ শুরু করার আগে দেশের অন্যান্য হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া জরুরি।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সেইসব ছাত্রছাত্রীদের বিষয়েও খোঁজখবর নেন, যারা বর্তমানে রাজ্যের বাইরে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাদের প্লেসমেন্ট ও ভবিষ্যৎ সুযোগ-সুবিধাও খতিয়ে দেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা একসময় রাজ্যের মানুষের আস্থার জায়গা ছিল। সেই আস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।”
বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং ন্যাশনাল আয়ুষ মিশনের সদস্য সচিব সাজু বাহিদ এ. প্রস্তাবিত ৬০ আসন বিশিষ্ট দুটি কলেজের স্থান নির্বাচন, পাঠ্যক্রমের সময়সীমা, বিভাগীয় কাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয় স্লাইড শোর মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার সঞ্জয় কুমার দাস পরিকাঠামো নির্মাণ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা দেন।
এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন কুমার দাস, স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা ডা. অশোক দেওয়ানসহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।





Leave feedback about this