2025-11-05
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য স্বাস্থ্য

রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা — আরকে নগরে সিজা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি:- রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে খয়েরপুর সংলগ্ন আরকে নগরে সিজা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সিজা হাসপাতাল রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। রোগীদের আস্থা ও বিশ্বাস চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করে। তাই চিকিৎসকদের নিজেদের দক্ষতাকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম ছোট রাজ্য হলেও ত্রিপুরায় সিজা হাসপাতাল ইতিমধ্যেই চিকিৎসাক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। রাজ্য সরকার প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জিবি হাসপাতালে নয়টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ চালু করেছে। তবুও বহু রোগীকে এখনও বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। সেই সমস্যার সমাধানেই সিজা হাসপাতাল এগিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের উদ্যোগে ত্রিপুরায় একের পর এক কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই আমরা বিশ্বাস রাখি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠলে রাজ্যের মানুষ আরও উন্নত চিকিৎসা পাবেন।”

সিজা কর্তৃপক্ষের হাতে রাজ্য সরকার প্রায় ২৮ একর জমি হস্তান্তর করেছে, যেখানে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই হাসপাতাল গড়ে উঠলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং গোটা অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।”

ডাঃ সাহা আরও বলেন, খয়েরপুর এলাকা দিয়ে রিং রোডের কাজ শুরু হবে, যা বাইপাস হয়ে পুরো অঞ্চলের চিত্র পাল্টে দেবে। পাশাপাশি নতুন উড়ালপুল, ইউনিটি মল, গুর্খাবস্তিতে জি+১৪ ভবন, পুরান মোটরস্ট্যান্ডে মাল্টি-লেভেল পার্কিং ও ক্যান্সার হাসপাতাল প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সিজা হাসপাতালের সিএমডি সহ বিশিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকগণ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট ইনভেস্টর সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে ত্রিপুরার জন্য ১৫ হাজার কোটিরও বেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তিনি আশাবাদী, এই উদ্যোগগুলো ত্রিপুরাকে “নতুন স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের মডেল রাজ্য” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

 

 

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service