জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রজা পিতা ব্রহ্ম কুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান কবিতা বেহেনজি। তার অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।১৯৯৫ সালে প্রথমবার আগরতলায় এসেছিলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবিতা বেহেনজি। আগরতলায় এসে প্রথমে ভাড়া বাড়িতে থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছিলেন। ধীরে ধীরে আগরতলার আড়ালিয়াতে প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান কার্যালয় গড়ে তোলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ১৬ টি সেন্টার গড়ে তুলেছেন। নেশা মুক্ত, চিন্তামুক্ত মানুষ গড়ে তোলার জন্য আমৃত্যু লড়াই জারি রেখেছিলেন। মেডিটেশনের মাধ্যমে বহু মানুষকে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে গোটা রাজ্যে প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সদস্য রয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল কবিতা বেহেনজির। বেশ কিছুদিন রোগভোগের পর শুক্রবার সকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কবিতা বেহেনজি। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু গুণমুগ্ধ ছুটে যান আড়ালিয়া কার্যালয়ে। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে সহ রাজ্যের আরও বহু গণমান্য ব্যক্তি। শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বেহেনজিকে। হাজারো মানুষের চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে কবিতা বেহেনজিকে। বাংলাদেশে বহু সেন্টার রয়েছে কবিতা বেহেনজির হাতে গড়া।হিন্দু মুসলমান একত্রিতভাবে সমবেত মেডিটেশন করছে সেন্টারগুলিতে। দুই বাংলায় আজ শোকের সুখের ছায়া নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, ভাবতেই পারিনি কবিতা বেহেনজি এত কম বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। এদিকে আড়ালিয়া সেন্টারের বরিষ্ঠ জনৈক্ সদস্য বলেন, অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের। কবিতা বেহেনজি একই সঙ্গে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের দায়িত্বে ছিলেন। একজন অভিভাবককে হারালাম।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার স্তম্ভিত হয়ে পড়েন বেহেনজির অকালপ্রয়াণে। শোকে মর্মাহত মানিক সরকার কোন মন্তব্য করেনি। এদিকে রাজ্যের বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে বেহেনজির অকালপ্রয়াণে রীতিমত চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বেহেনজির প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা রাজ্য থেকে লোকজন এসে ভিড় জমিয়েছে আড়ালিয়াস্থিত প্রধান কার্যালয়ে। লাইন ধরে মানুষ এদিন চোখের জলে ফুল ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ বিদায় জানিয়েছেন কবিতা বেহেনজিকে।
	রাজ্য
	
না ফেরার দেশে অকালেই চলে গেলেন কবিতা বেহেনজি
- by janatar kalam
- 2023-09-22
- 0 Comments
- Less than a minute
- 2 years ago
 

 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	
Leave feedback about this