জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- সন্দেশখালীতে নারীদের প্রতি হয়রানি ও প্রতারণার বিষয়টি বাংলায় বেশ কিছুদিন ধরেই খবরে ছিল। এই ঘটনা গোটা দেশের নজর কেড়েছে। এখন এই বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা, সন্দেশখালিতে নারীদের হয়রানি এবং কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তীব্র নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সন্দেশখালীতে নারী নিপীড়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, নারী হিসেবে জীবনযাপন করতে গিয়ে নারী নিপীড়ন বাংলায় একটি বড় সমস্যা। তিনি বলেছিলেন যে বাংলায় একজন মহিলা ক্ষমতায় আছেন এবং তা সত্ত্বেও সেখানে অশান্তি ঘটছে, তাহলে জনগণ এর জবাব দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে একটি বড় পরিবর্তন হবে এবং এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সাক্ষাৎকারে বাংলায় অনুপ্রবেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, মমতা জি সংসদে কাগজপত্র উড়িয়ে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ঝড় তুলেছিলেন, এখন তিনি সেই অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছেন। এখন যেন সোনার থালা। ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তাঁর জনকল্যাণমূলক পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বাংলা আবারও বিশ্বের দরবারে সেরা অবস্থান অর্জন করতে পারে, কিন্তু তার জন্য বাংলাকে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি থেকে বের করে আনতে হবে। ভারতের উন্নয়নে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারতকে নিন। বিশ্বমঞ্চে বাংলার ভূমিকা অনস্বীকার্য, দুর্ভাগ্যবশত এই মহান ঐতিহ্যকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ।
তিনি আরও বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাংলার একটি নতুন জাগরণ প্রয়োজন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। আপনি বিজেপিকে যতই গালাগালি করুন না কেন, বিপুল পরিমাণ টাকার নোট কোথায় লুকাবেন। সবার চোখের সামনেই গোটা দেশে বিদ্বেষের মোকাবিলা করছে মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে যদি উন্নয়ন করতে হয়, তবে দেশের কিছু রাজ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা আছে এমন রাজ্যগুলির মধ্যে বাংলা অন্যতম। ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, বাংলাকে সামাজিক অগ্রগতি হয়েছে ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের অগ্রভাগে দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, “ভারতের নাম বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বাংলার বড় ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশাপাশি বিবেকানন্দ, জগদীশ চন্দ্র বসুর নামও নিতে পারেন, কিন্তু বামপন্থীরা এই ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাকে যদি এগিয়ে যেতে হয়, বাংলার পুনরুজ্জীবন দরকার।