2025-07-21
Ramnagar, Agartala,Tripura
দেশ রাজনৈতিক

জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলি, কংগ্রেসে বিরোধের মধ্যেই বিস্ফোরক শশী থারুর

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ‘জাতীয় স্বার্থে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা আনুগত্যহীন হিসেবে দেখা হয়। বিতর্ক উস্কে দিয়ে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে খবরের শিরোনামে এসেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুর। দলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসে কোণঠাসা। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কিনা, এই জল্পনার মাঝেই শনিবার ‘জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলির সহযোগিতা জরুরি’ বলে মন্তব্য করলেন থারুর।

কোচিতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি এবং জাতীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শশী থারুর। সেখানে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হোক বা অন্যভাবে হোক, যে কোনও গণতন্ত্রে রাজনীতি হল প্রতিযোগিতা। আর ফলস্বরূপ, যখন আমার মতো মানুষ বলে যে আমরা আমাদের দলগুলোকে সম্মান করি… কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের অন্যান্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করা প্রয়োজন…কখনও কখনও দলগুলি মনে করে যে এটি তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতক এবং আনুগতাহীন। এবং এটিই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আরও বলেন, অনেকেই আমার সমালোচনা করছেন, কারণ আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। দেশের ভেতরে এবং সীমান্তে সম্প্রতি যা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, এটাই দেশের পক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত। তাই আমি নিজের অবস্থানে অনড় থাকব।

কংগ্রেস নেতা বলেন, আমার মনে হয়, দেশ প্রথমে আসে। দলগুলি জাতিকে উন্নত করার একটি মাধ্যম। তাই আমার মনে হয়, আপনি যে দলেরই হোন না কেন, সেই দলের উদ্দেশ্য হল নিজস্ব উপায়ে একটি উন্নত ভারত তৈরি করা। উন্নত ভারত তৈরির সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন, ধরুন, আরও পুঁজিবাদ। কেউ কেউ আরও সমাজতন্ত্র বলতে পারেন। কেউ কেউ নির্দিষ্ট ধরণের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে হতে পারেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে হতে পারেন। ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এটা ঠিক আছে। কিন্তু পরিশেষে, আমাদের সকলকে একটি উন্নত ভারতের প্রতি, একটি নিরাপদ ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এমন একটি ভারত গড়তে হবে যার সীমান্ত সুরক্ষিত, ভূখণ্ড নিরাপদ, জনগণের মঙ্গল লালন করা যেতে পারে। এবং এটাই আমার অঙ্গীকার। এরপরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর উদ্ধৃতি দিয়ে থারুর বলেন, ‘ভারত মারা গেলে কে বাঁচবে?’ এই সঙ্গেই তাঁর মত, ‘জাতীয় ঐক্যর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অতিক্রম করতে হবে। পরে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে শশীর বার্তা, তাঁর রাজনৈতিক পথচলার মূল দর্শন বরাবরই নেশন ফার্স্ট অর্থাৎ দেশ সবার আগে।

কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে তাঁর কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে শশী থারুর বলেন যে তিনি এখানে কোন রাজনীতি বা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আসেননি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে গেরুয়া শিবিরের নানা মন্তব্যের ও সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই জন্য কংগ্রেসের অন্দরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service