জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, নিচুতলার নেতাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ায় জোর দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার গুজরাটে শিবিরে রাহুল বলেন, গুজরাট বিজেপির আঁতুড়ঘর। স্থানীয় এক জেলা সভাপতিদের প্রশিক্ষণ কংগ্রেস নেতা বলেন, রাহুল দেশকে একটি মন্দিরের সঙ্গে তুলনা করে কর্মীদের জানান, আসলে বিজেপি ও আরএসএস ঠিক করে দিচ্ছে কারা প্রসাদ পাবে আর কারা পাবে না। পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ সেই মন্দিরে এলে তাদের জন্য একরকম প্রসাদ আর শিল্পপতিরা এলে একরকম প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে। এই বিভাজন রুখতেই বদলের প্রয়োজন। ২০২৭-এ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতে নিচুতলা থেকে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। একই সঙ্গে, নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন সোনিয়া-তনয়।
সংসদে দাঁড়িয়ে গুজরাটে বিজেপিকে হারাতে ইন্ডিয়া জোট ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে বলে কার্যত গেরুয়া শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন রাহুল। আবার সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর রাজ্যে গিয়ে দলের অভ্যন্তরে ‘বিজেপির হয়ে কাজ করা’ নেতাদের দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। জানান, “এই রাজ্যে কংগ্রেসের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা তলায় তলায় বিজেপির হয়ে কাজ করেন। দলে তাঁদের প্রয়োজন নেই।” তাই প্রদেশ কংগ্রেসকে ঢেলে সাজার ইঙ্গিত দিয়ে আসেন। সেইমতো সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি থেকে নিচুতলা পর্যন্ত নেতৃত্বে বদল আনে কংগ্রেস। দলের ‘দলের সংগঠন সুজন অভিযান’-এ যোগ দিয়ে রাহুল জেলা সভাপতিদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এতদিন কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতিদের গুরুত্ব দিত না। এবার থেকে উল্টোপথে হাঁটবে জেলা সভাপতিদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী দল। নির্বাচন করা হবে।”
মোদী শাহর রাজ্যে কেন বিজেপিকে পরাজিত করার প্রয়োজন সেই ব্যাখ্যাও দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, দেশের মধ্যে গুজরাটে নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বেশি পক্ষপাতদুষ্ট। তাই কংগ্রেস এখানে পরাজিত হচ্ছে। তবুও সবাইকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে। কারণ, গুজরাট হচ্ছে বিজেপি মোদি-শাহর বিজেপিকে পরাজিত করার ও আরএসএসএর শক্ত ঘাঁটি। এখানে আঘাত আনতে হবে। তবেই অন্য রাজ্যে বিজেপি দুর্বল হবে। ক্রিকেটীয় ভাষায় রাহুল জানান, “একজন ব্যাটার বারবার যদি আউট হতে থাকেন তা হলে প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন এমন হচ্ছে। আসলে পক্ষপাতদুষ্ট ‘আম্পায়ার’ থাকলেই এমনটা হওয়া সম্ভব। এখানেও তাই হচ্ছে।”
Leave feedback about this