জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-মননের উৎসব ৪৪তম আগরতলা বইমেলা ২০২৬ জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। আজ আগরতলা বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সুকান্ত একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মণ, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পদ্মশ্রী অরুণোদয় সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তথা ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী প্রস্তুতি সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রস্তুতি সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, সারা রাজ্য থেকেই বইপ্রেমী, সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ বইমেলায় অংশ নেন। ব্যাপক সংখ্যায় ছাত্রছাত্রী এবং যুবক-যুবতীরাও প্রতিবছর বইমেলায় আসে। সব অংশের মানুষকে বইমেলার সঙ্গে যুক্ত করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞান আহরণের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। তাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ আরও বাড়াতে পারলে তারা আরও সমৃদ্ধ হবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বন্দেমাতরম ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে আরও সংগঠিত করেছিল। এই মন্ত্র ১৪০ কোটি মানুষের। তাকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আগামীবছর অনুষ্ঠিতব্য বইমেলার সাফল্য কামনা করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ বলেন, ছাত্রছাত্রী ও নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি করে বইমুখী হয় তারজন্যই আগরতলা বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার দৈনন্দিন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়ার আনন্দ এবং নেশা সবকিছু থেকে আলাদা। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার প্রতি আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ এবং সুযোগ বাড়ছে। তাই নতুন নতুন কলেজ চালু করতে হচ্ছে। তিনি বইমেলার আগাম সাফল্য কামনা করেন।
আলোচনায় আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে সবধরণের মেলা আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে। সেখানে আয়োজিত বইমেলায় বইপ্রেমীর সংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি বই বিক্রিও বাড়ছে। বর্তমান সরকারের সময়েই হাঁপানিয়াতে সত্যিকারের বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামীবছর বইমেলায় লোক সমাগম আরও বাড়বে।
প্রস্তুতি সভার শুরুতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী ২০২৫ সালে বইমেলার আয়োজনের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের বইমেলায় ১৮০টি স্টল খোলা হয়েছিল। রাজ্য ও বহিরাজ্যের প্রকাশক, বিক্রেতাগণ বইমেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। ১৩ দিনব্যাপী বইমেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১,৭০০ শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে বইমেলা মঞ্চে ১৪টি পুরস্কার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ২০২৬ সালের বইমেলার প্রস্তুতির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। সভায় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য-সদস্যাগণও বইমেলাকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন।





Leave feedback about this