জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ভারতের সেমিকন্ডাক্টর লক্ষ্য অর্জনে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটলো। দেশের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চিপ দ্বারা পরিচালিত টেলিকম সিস্টেম প্রথমবারের মতো ভারতের টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার (TEC) সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এই সফলতার খবরটি জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ পোস্ট করে। তিনি এ ঘটনাকে ভারতীয় সেমিকন্ডাক্টর খাতের জন্য একটি “বড় লাফ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, “ভারতের সেমিকন্ডাক্টর গল্পে একটি বড় লাফ! প্রথমবার, দেশের তৈরি চিপে চালিত টেলিকম সিস্টেম কঠোর মান ও গুণগত পরীক্ষা পেরিয়ে TEC সার্টিফিকেশন অর্জন করলো।”
TEC সার্টিফিকেশন হল সরকারি অনুমোদন, যা ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার (TEC) দ্বারা জারি করা হয়। এই সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করে যে সংশ্লিষ্ট সিস্টেমটি গুণগতমান ও কার্যকারিতার কঠোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এটি ‘Make in India’ উদ্যোগের আওতায় প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত।
বর্তমানে যদিও ভারত উচ্চতর সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেনি, তবে দেশের চিপ তৈরির পরিকল্পনা এখন পরিষ্কার রূপ নেয়ার দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে ২৮ ন্যানোমিটার থেকে ৬৫ ন্যানোমিটার নোড চিপ উৎপাদনে, যা প্রধানত অটোমোবাইল, টেলিকম এবং শিল্প ইলেকট্রনিক্স খাতে ব্যবহৃত হবে।
বিশ্লেষণ সংস্থা Bastion Research-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল প্রতিযোগিতার মূল ফোকাস যেখানে অত্যাধুনিক নোডে চিপ উৎপাদনের দিকে, সেখানে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাপ পূরণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বমানের উচ্চমানের ইন্টিগ্রেশন সার্ভিস সরবরাহে ইতোমধ্যেই দেশের সক্ষমতা প্রমাণিত। পাশাপাশি, ভারত তার প্রতিভা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতগতিতে এই উৎপাদন খাতকে স্কেল করতে উদ্যোগী।
এই মাইলস্টোন ভারতকে শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বৈশ্বিক টেলিকম এবং ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেমে আরও প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আগামী দিনে আরও উচ্চতর সাফল্যের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিল্প বিশেষজ্ঞরা।