জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মাফিয়া শব্দটিকে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত করতে হবে। জমি জায়গা বিক্রি বাট্টা থেকে শুরু করে ঠিকাদারি কাজ কোথাও যেন মাফিয়া শব্দ না থাকে। রিভিউ বৈঠকে পুলিশ মহা নির্দেশককে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন অবস্থাতেই যাতে অবনতির দিকে না যায় সেই দিশাতেই কাজ করে চলেছে পুলিশ প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অপরাধ প্রবণতা কমাতে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে চলেছে ত্রিপুরা পুলিশ। মঙ্গলবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত পুলিশের এক রিভিউ বৈঠকে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা: মানিক সাহা পুলিশ মহা নির্দেশক সহ সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকদের সামনে স্পষ্ট বলেন, ত্রিপুরা থেকে মাফিয়া শব্দটিকে উৎখাত করতে হবে, নো মাফিয়া, কোন অবস্থাতে যাতে সিন্ডিকেট, কাট মানি, ঠিকাদারী কাজে নিগোজিশিয়ান, জায়গা জমি বিক্রিতে মাফিয়ারাজ শব্দটি উচ্চারণ না হয়। মাফিয়া দমনে আরও সচেষ্ট হতে হবে পুলিশকে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় এখনো ত্রিপুরা পুলিশে ম্যানপাওয়ারের ঘাটতি রয়েছে। প্রায় সিক্সটি পার্সেন্ট ম্যানপাওয়ার রয়েছে, প্রমোশন বা রিটায়ার্ডমেন্টে যাওয়ার ফলে ৪০% শূন্য পদ রয়ে গেছে। সেগুলিকে পূর্ণ করার বিষয়ে সরকার যথেষ্ট সচেষ্ট। ইতিমধ্যেই সেগুলি পূরণ করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। পুলিশের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী সরকারের পক্ষে কিছু কিছু ঘাটতির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় পুলিশের যানবাহন সমস্যা রয়েছে,, সমস্যা রয়েছে কোয়াটার্সগুলির।পুলিশ স্টেশন গুলিতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাউন্ডারি নেই। সেই সমস্যা নিরসনে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রয়েছে রাজ্য সরকার। সরকার শীঘ্রই রাজ্য পুলিশকে আরো আধুনিকীকরণ করার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে। এ দিনের পর্যালোচনা সভায় পুলিশ মহা নির্দেশক বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মত পুলিশ প্রশাসনও নেশা বিরোধী অভিযানে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে চলেছে। গত ছয় মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন আইটেমের নেশা সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটাকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রতিটি থানা আউট পোস্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী, ট্রাফিকি ব্যবস্থা, সাইবার ক্রাইম, চুরি ডাকাতি, গার্হস্থ হিংসা সহ সবকিছু বিষয় নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি পৃথক পৃথকভাবে পুলিশের বিভিন্ন শাখা থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ভুয়শী প্রশংসা করে আরো বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। যার ফলে গত বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।কোন প্রকার হিংসা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করেছে রাজ্য পুলিশ। আগামী দিনও জারি থাকবে পুলিশের এই প্রয়াস।