জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কাও হয়েছে আজ। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৪২টি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা, সেটিও হয়েছিল এবারের আইপিএলে, গত ২৭ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যাচে।
আজ দুই দল মিলে রান তুলেছে ৫২৩। আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের ৪ ওপেনারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন আজ। সুনীল নারাইন ও ফিল সল্ট—কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন। আজ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও ছিল এর ধারাবাহিকতা। দুজনে গড়েছেন ৬৩ বলে ১৩৮ রানের জুটি।
পাঞ্জাবের দুই ওপেনারও আজ জ্বলে উঠেছিলেন। কলকাতার ওপেনারদের ১৩৮ রানের জুটির জবাবে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রবসিমরান ও জনি বেয়ারস্টো মিলে গড়েন ৩৬ বলে ৯৩ রানের জুটি। এমন জুটিতে ২৬১ রানের জবাব যেভাবে দেওয়া দরকার ছিল, সেভাবেই দিয়েছে পাঞ্জাব। দুই ওপেনার মিলে পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৯৩ রান, যা আইপিএলে পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ।
২০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হন প্রবসিমরান। এই ওপেনার ফিফটি করেন মাত্র ১৮ বলে। প্রবসিমরান ৫৪ রানে ফিরে গেলেও বেয়ারস্টো করেন সেঞ্চুরি। কিছুদিন ধরে ছন্দে না থাকা এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান মাত্র ৪৫ বলে আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। তাঁর অপরাজিত ৪৮ বলে ১০৮ রানের ইনিংস আর ৪ নম্বরে নেমে শশাঙ্ক সিংহের ২৮ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসেই জয় পায় পাঞ্জাব। নারাইন আজ ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ২৪। কলকাতার বাকি বোলাররা ১৪.৪ ওভারে রান খরচ করেছেন ২৩৬। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ১৬.০৯ করে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতা পাওয়ার প্লেতে তোলে বিনা উইকেটে ৭৬ রান। নারাইন-সল্ট মিলে শতরানের জুটি গড়েন মাত্র ৪৮ বলে। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি করেন নারাইন। আর সল্ট ফিফটি পান ২৫ বলে। দুজনের জুটি ভাঙে ৩২ বলে ৭১ রান করে নারাইন আউট হলে। সল্ট আউট হন ৩৭ বলে ৭৫ রান করে।
ওপেনারদের এমন শুরুর পর ভেঙ্কটেস আইয়ার, আন্দ্রে রাসেল আর শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যামিওতে কলকাতা তোলে ২৬১। সেটাও যথেষ্ট হলো না। আইপিএলে এখন পর্যন্ত কোনো দল ২৫০ বা এর চেয়ে বেশি রান তুলেছে ৯ বার, যার ৫ বারই হলো গত ১০ দিনে।