জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মানুষ চায় খাদ্যবস্তু। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ গতি। দ্রব্যমুল্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। খাদ্য দপ্তর কমিশন বানিজ্য করার জন্য ক্যানভাস ব্যাগ ক্র্য় করে সাধারন মানুষকে তা ধরাতে চাইছে। যে খাদ্য সামগ্রীগুলি শারদ উৎসব উপলক্ষে রেশন শপের মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে বলা হয়েছে, তা বিনামুল্যে মানুষকে দেবার কোন কর্মসূচি নেই সরকারের। প্রচার করার জন্য, সাধারন মানুষকে বোকা বানানোর জন্য , এই প্রচার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার আগরতলা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের এই ভুমিকাকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করেন যেখানে বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্য মুল্য, খোলা বাজারে চালের দাম ৫০ টাকা প্রতি কিলো হয়ে গেছে সে জায়গায় শুধুমাত্র লোক দেখানো অভিযান করা হয়। প্রদেশ কংগ্রেস এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এদিন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহা এদিন অভিযোগ করেন যে মানুষকে প্রচার সম্বলিত করে সরকারের প্রতি আকৃষ্ট করার প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন সময় রেখে এই সরকার তা পালনে ব্যার্থ। এই ধরনের সরকারের উদ্যোগকে প্রদেশ কংগ্রেস নিন্দা জানায়। আশিস বাবুর বক্তব্য যদি শারদ উৎসবের উপহারই হয় তবে সরকার কেন রেশনশপে দেওয়া দ্রব্য বস্তুর মুল্য রাখছে। তেল রেশন শপে পাওয়া যাচ্ছে না। চিনি ডাল রেশন শপে এখনো আসে নি। এই ক্যানভাস ব্যাগ এখনো রেশন শপে পাওয়া যায় নি। এদিন তিনি সোচ্চার হয়ে আরও বলেন রেশন শপ গুলিকে মডেল পর্জায়ে উন্নীত করা হচ্ছে। মডেল রেশন শপ অথচ সরকারের জিনিষ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন রেশন শপকে মডেল বানিয়ে সরকার যদি সাপ্লাই করতে পারছে না। গত মাসে রেশন শপে আটা দেওয়া হয় নি। আর তা না দিয়ে চলতি মাসে ভর্তুকি মুল্যে ময়দা সুজি দিচ্ছে। এতে করে রাজ্যের মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। নানা ভাবে প্রলোভিত করে সরকারের পাবলিসিটি বানিজ্য করছে।আগামী কাল থেকে দেবী পক্ষ শুরু হচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত রেশনশপ গুলিতে জিনিষ পত্র সব পাওয়া যাচ্ছে না। আশিস বাবুর অভিযোগ শুধুমাত্র প্রচার সর্বস্য একটা সরকার। প্রদেশ কংগ্রেস সরকারের এই ভুমিকার তীব্র নিন্দা জানায় এদিন। তিনি বলেন দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রণ করার কোন লক্ষন নেই সরকারের। লোকদেখানো অভিযান করে বিভিন্ন সময় রেইডের নামে উল্টো কালোবাজারিদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের ব্যবসা আরও বেশী ফুলে ফেপে উঠার সহযোগিতা এই সরকারের তরফ থেকে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আনলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। শ্রী সাহা আরও বলেন সরকারের কোন কর্মসূচি নেই যাতে করে বাজারে দ্রব্য মুল্যের দাম আরও নিম্নমুখী হতে পারে। প্রতিদিন জিনিষ পত্রের দাম বাড়লেও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। এতে পরিষ্কার এই সরকারের কোন সদিচ্ছা নেই। শুধু মাত্র প্রচার নির্ভরতাকে কাজে লাগিয়ে এই সরকার মানুষকে তাদের সাথে নিতে চায় যার চূড়ান্ত ভাবে বিরোধিতা করেন তিনি। বিশালগড়ে শারদ উৎসবকে সামনে রেখে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় সোচ্চার হয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আগামী ২২ শে নভেম্বর বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ ভবন অভিযানে যাচ্ছে বলে এ দিন জানান তিনি। এই সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।