জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে চালু হওয়া ‘পি.এম. ধন-ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘দালহান আত্মনির্ভরতা মিশন’ দেশের কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন দিশা এনে দেবে। তাঁর মতে, এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না, বরং কম উৎপাদনশীল ও সেচব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিও বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চৌহান জানান, দেশে বহু জেলা রয়েছে যেখানে প্রতি হেক্টরে উৎপাদন অত্যন্ত কম। সরকার এমন ১০০টি পিছিয়ে থাকা জেলা চিহ্নিত করেছে, যেখানে ১১টি মন্ত্রকের অধীনে ৩৬টি প্রকল্প সমন্বিতভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের মোট কৃষি উৎপাদনেও বড় বৃদ্ধি আসবে। এটি কৃষকদের জীবনে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনবে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত শনিবার ২৪,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পি.এম. ধন-ধান্য কৃষি যোজনা’ উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য— দেশের প্রতিটি খেতে সেচের ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া, ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষকদের সহজে ঋণ ও সংরক্ষণ সুবিধা প্রদান, এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রসার ঘটানো। নির্বাচিত জেলাগুলিতে কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন, জল ব্যবস্থাপনা ও ফসলের বৈচিত্র্যের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত গম ও চাল উৎপাদনে আত্মনির্ভর হলেও, এখনো ডাল বা দালহানের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্যই সরকার ‘দালহান আত্মনির্ভরতা মিশন’ শুরু করেছে।” এই মিশনের লক্ষ্য, ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ভারতকে দাল উৎপাদনে সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর করা।
তিনি আরও জানান, ভারতের অধিকাংশ জনগণ নিরামিষভোজী, আর ডালই তাদের প্রধান প্রোটিনের উৎস। পাশাপাশি ডালচাষ মাটির উর্বরতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি নাইট্রোজেন স্থিতিশীল রাখে।
উল্লেখ্য, ‘দালহান আত্মনির্ভরতা মিশন’-এর ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬-এ, এবং ১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি ২০২৫-২৬ থেকে ২০৩০-৩১ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর লক্ষ্য হলো— দেশে দাল উৎপাদন বৃদ্ধি, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যে দাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।