জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মার। সেসময় অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না মুনমুন ও তাঁর মেয়ে রাইমা, দুজনেই বিশেষ কাজে দিল্লিতে ছিলেন বলে জানা যায়। তবে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়েই তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসেন মুনমুন।
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুনমুন সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে ভরত দেব বর্মার। দীর্ঘ ৪৫ বছরের সুখী দাম্পত্য তাঁদের। ভরত-মুনমুনের দুই মেয়ে রাইমা সেন এবং রিয়া সেন।
এদিন বাবার মৃত্যুর পর রাইমা বলেন, ‘শেষ সময় পাশে থাকতে পারলাম না, বাবাকে খুব মিস করব।
সকালে খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়েছিলেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতে। বিকাল গড়াতেই বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বেদান্ত আবাসনের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। স্থানীয়দের কৌতূহল, মুনমুন কখন শহরে ফিরবেন। মুনমুন এবং রাইমা যাতে বিমানবন্দর থেকে দ্রুত বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে অভিনেত্রীর স্বামীর প্রয়াণের খবর পেয়ে একে একে তারকারা আসতে শুরু করেন বালিগঞ্জের বাড়িতে। আবীর চট্টোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়রা আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন। হেমন্তের সূর্য একটু তাড়াতাড়ি ডোবে। অন্ধকার নামার আগেই ভরতকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন ঊষা উত্থুপ, তেলঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা।
সাড়ে ৬টা নাগাদ আরও একবার মুনমুনের বাসভবনে এসে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেওড়াতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা ভরতের।