জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সমস্ত সরকারি,আধা সরকারি, বেসরকারি সমস্ত ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকার সবার আছে। ১৯৭২ সালে গ্র্যাচুইটি আইন পাস হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে গ্র্যাচুইটি নিয়ে মামলা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকাদের গ্র্যাচুইটি দেওয়ার রায় দেয়। ভারতের অনেক রাজ্যের সরকার দিলেও ত্রিপুরার সরকার কোন কর্ণপাত করছে না এবং গ্র্যাচুইটি দিচ্ছে না।
হাইকোর্টে এনিয়ে মামলা হলে আদালত সুদ সহ গ্রাচুইটির টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এখনও দেয়নি সরকার। শনিবার এই অভিযোগ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সি আই টি ইউ-র রাজ্য সভাপতি মানিক দে। এদিন ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা ইউনিয়ন, সিআইটিইউ, সারা ভারত শ্রমজীবী মহিলা সমন্বয় কমিটি এবং সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি যৌথভাবে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে।
সকালে রাজধানীর রাধানগর স্ট্যান্ডের সামনে থেকে বের হয় তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে দাবি আদায়ের মিছিল। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে যায়। মিছিলে ছিলেন সি আই টি ইউ-র সভাপতি মানিক দে, নারী নেত্রী স্বপ্না দত্ত, ঝর্ণা দাস বৈদ্য, রমা দাস, শ্রমজীবী মহিলা সমন্বয় কমিটির নেত্রী পাঞ্চালী ভট্টাচার্য সহ অন্যরা।
মিছিল শেষে জমায়েত থেকে এক প্রতিনিধি দল দাবি সনদ নিয়ে দেখা করতে যান অধিকর্তার সঙ্গে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গ্র্যাচুইটি দেওয়া, মজুরি বৃদ্ধি, চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করা, ছাঁটাই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পুনর্বহাল করার।