জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- এক কিশোরীকে হত্যা করে তার মৃতদেহ একটি স্যুটকেসে করে রেললাইনের ধারে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কিশোরীর দেহ ২১ মে পাওয়া গিয়েছিল। বেঙ্গালুরু গ্রামীণ বিভাগের সূর্যনগর পুলিশ বিহার থেকে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাদের কর্ণাটকে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
অভিযুক্তরা সকলেই বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। সাতজনের মধ্যে তিনজণের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হল আশিক কুমার, মুকেশ এবং রাজারাম মোহন। পুলিশ জানিয়েছে, আশিক কুমার বিবাহিত এবং দুই সন্তাণের বাবা। পুলিশ অপরাধের নেপথ্যে থাকা উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার জন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
২১শে মে বেঙ্গালুরুর পুরাতন চাঁদপুরা রেলওয়ে ব্রিজের কাছে একটি ছেঁড়া নীল স্যুটকেস পাওয়া যায়। তার মধ্যে ছিল এক কিশোরীর দেহ। পুলিশ জানতে পারে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর নাম রীমা।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছিল যে মেয়েটিকে অন্য কোথাও খুন করে স্যুটকেসে ভরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটিকে অন্য জায়গায় হত্যা করা হয়েছিল ঠিকই, তবে তার দেহ স্যুটকেসে ভরে রেললাইনের কাছে একটি ক্যাবে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে কর্ণাটক জুড়ে এর আগেও অনেক নিখোঁজ ব্যক্তির নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে খুন হওয়া কিশোরীর নামও ছিল। পুলিশ সুপার (বেঙ্গালুরু গ্রামীণ) সিকে বাবা বলেন, “আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করেছি।
যদিও এই ধরনের ঘটনা সাধারণত রেলওয়ে পুলিশের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে, কিন্তু আমরাও এর তদন্ত করছি কারণ এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের এলাকার সম্পর্ক থাকতে পারে। স্যুটকেসে কেবল মৃতদেহ ছিল- কোনও পরিচয়পত্র বা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি।”