জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই পূন্য তিথির স্মরণে পালন করা হয় জন্মাষ্টমী। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গিয়ে ধার্মিক ও সাধারণের জীবনে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তখনই দুষ্টের দমন ও সৃষ্টির পালনের মাধ্যমে ধর্ম রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে নেমে আসেন। পুরান মতে দেবকির অষ্টম সন্তান রূপে শ্রীকৃষ্ণের জন্মকেই জন্মাষ্টমী বলা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথির রুহিনি নক্ষত্রের জন্ম হয় কৃষ্ণের। এই তিথিতেই প্রত্যেক বছর পালন করা হয় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই জন্মাষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের পূজা করলে নাকি পূর্ণ হয় মনস্কামনা। তাই এই জন্মাষ্টমী সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম একটি উৎসব। প্রত্যেক বছর দেশ জুড়ে এই উৎসব পালিত হয় মহাসমারুহে। এবছর জন্মাষ্টমী তিথি অনুযায়ী দুদিন পড়লেও বৈষ্ণব সম্প্রদায় জন্মাষ্টমী পালন করলেন বৃহস্পতিবার। এমনটাই এদিন দেখা গেল আগরতলা শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। ত্রিপুরা যাদব মহাসভার উদ্যোগে এবারো ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর আয়োজন করা হয়। এবছর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের জন্মাষ্টমী ৭২ তম বর্ষে পা রাখল। গতদিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হলেও বৃহস্পতিবার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মত অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হলো জন্মাষ্টমীর মূল অনুষ্ঠান। এদিন বিশেষ পূজার্চনার মধ্য দিয়েই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে উদযাপিত হলো জন্মাষ্টমী। তবে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী বেশ কয়েকদিন এই মন্দিরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণ নীলা, নাটক, বাউল ও কবি গান সহ আরো নানা কর্মসূচি। এমনটাই জানালেন ত্রিপুরা যাদব মহাসভার চেয়ারম্যান প্রমোদ লাল ঘোষ।