জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- শরিফুল ইসলাম খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলা হয়। আসামির শাস্তির দাবি জানিয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। উল্লেখ্য ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন হয়েছে ইন্দ্রনগরের যুবক শরিফুল ইসলাম। বুধবার গন্ডাছড়া নারায়ণপুরের একটি পানের দোকানের ডিপ ফ্রিজ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর গত ৮ ই জুন শরিফুলকে উপহার দেওয়ার নাম করে তাঁর বন্ধু ডা. দিবাকর সাহা দক্ষিন ইন্দ্রনগরের বাসিন্দা জয়দ্বীপ দাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। আগেই জয়দ্বীপের বাড়িতে শরিফুলের প্রেমিকা নবনীতা দাস এবং অনিমেষ যাদব নামে এক যুবক উপস্থিত ছিল। তাঁদের উপস্থিতিতেই দিবাকর সাহা শ্বাসরুদ্ধ করে শরিফুল ইসলামকে হত্যা করে।
পরবর্তী সময় ৯ ই জুন একটি বড় ব্যাগে করে দিবাকর তার বাড়ি গন্ডাছড়ায় গিয়ে তার বাবার দোকানের ডিপ ফ্রিজে শরিফুলের মৃতদেহটি রাখে। বুধবার গন্ডাছড়ায় দিবাকরের বাবার দোকান থেকে শরিফুলের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ৬ জনকে আদালতে তুলে হয়।
অভিযুক্তরা হল ডাক্তার দীবাকর সাহা, দীপক চন্দ্র সাহা, নবনিতা দাস, দেবিকা সাহা, জয়দীপ দাস এবং অনিমেষ ইয়াদব। এদিকে এদিন মৃত শরিফুলের পরিবারের লোক সহ এলাকাবাসীরা আগরতলা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ যাবৎ চলে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এলাকাবাসীদের দাবি শরিফুলের খুনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই ধরণের খুন কাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা রাজ্যেই একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যা এক সময় দিল্লি, গুজরাট কিংবা মুম্বাইয়ে হতো। সেইসব খনকাণ্ড এখন রাজ্যে হচ্ছে।
Leave feedback about this