জনতার কলম, এিপুরা, তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- রাজ্যের জোট শাসনাধীনে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র সিদ্ধান্তক্রমে রাজ্যের রেশন সোপের মাধ্যমে প্রতি রেশন ভোক্তাদের রেশন কার্ড পিছু প্রতি মাসে রাজ্যের উৎপাদিত “চা” পাতাও বন্টন করা হবে । সেই মোতাবেক আগরতলার রেশন দোকানগুলোতে প্রথমে এই “চা” পাতা বন্টনের উদ্যোগ নেওয়া হয় । তৎসঙ্গে প্রতি রেশন কার্ড পিছু প্রতি ১০০ গ্রামের চা পাতা প্যাকেট দেওয়া হয় । তারই অঙ্গ হিসেবে করোনা অতিমারীর মধ্যেও আজ তথা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ মিনিট নাগাদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও প্রত্যেকে মাক্স পরিধান করে তেলিয়ামুড়াস্থিত “প্রাইমারি মার্কেটিং কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে” এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের উৎপাদিত “চা” রাজ্যের রেশন দোকানগুলোতে বন্টনের জন্য তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মোট ৯৩ টি রেশন ডিলারের হাতে তাদের নিজ নিজ এলাকার রেশন ভোক্তাদের জন্য “চা” পাতা-র প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় । তবে আজকের এই অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভার বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, তেলিয়ামুড়ার পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অপু গোপ, “প্রাইমারি মার্কেটিং সোসাইটি”-র চেয়ারম্যান জয়ন্ত সাহা, “কো-অপারেটিভ সোসাইটি”-র সহ-নিয়ামক সুদীপ কুমার দাস, সমাজসেবী আশিস দাস এবং নিরোদ দাস প্রমুখ । এছাড়া আজকের এই অনুষ্ঠানে “তেলিয়ামুড়া প্রাইমারি মার্কেটিং সোসাইটি”-র ম্যানেজার সমীর ভট্টাচার্য উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন । তবে উল্লেখ্য, উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতি ১ প্যাকেট “চা” পাতা রেশন ভুক্তারা ১৮ টাকা মূল্য করে সংগ্রহ করবেন রেশন দোকান থেকে ।তবে রেশন ডিলাররা এই “চা” পাতা প্যাকেট ক্রয় করবেন ১৬ টাকা ৫০ পয়সা করে । সেই সাথে ২৭ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভার বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী জানায়, রাজ্যে উৎপাদিত “ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ড” নামে এই চা পাতা ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানেই পাওয়া যাবে । বর্তমানে আগরতলার পর তেলিয়ামুড়া, মোহনপুর, জিরানীয়া, বিশালগড় মহকুমার প্রতিটি রেশন সোপে রাজ্যের এই চা পাতা পাওয়া যাবে । তৎসঙ্গে রাজ্যের এই “চা” পাতা-র গুনগতমানও অনেক রয়েছে বলে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী আশ্বাস করেন ।।