Site icon janatar kalam

ত্রিপুরার লক্ষে ১৪ই জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে রওনা হচ্ছে জাহাজ : মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম,ত্রিপুরা,আগরতলা প্রতিনিধি :- আগামী ১৪ জুলাই হলদিয়া বন্দর থেকে রাজ্যের উদ্দেশ্যে জাহাজ রওয়ানা হবে। আগামী ১৮ জুলাই সোনামুড়া জেটি -তে টি এম টি বার সামগ্রী নিয়ে এসে পৌঁছবে জাহাজ। মডেল ত্রিপুরা রাজ্যের লক্ষ্যে । আর জলপথে সামগ্রী এসে পৌঁছালে পন্যের মূল্য অনেকটা হ্রাস পাবে।দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ত্রিপুরাকে হীরা বানিয়ে দেবে। সেটা বাস্তব হতে চলেছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী স্ব নিধি এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বনির্ভর যোজনা আনুষ্ঠানিক সূচনা করে এমনটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিভ্রান্ত করার জন্য সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে। কিন্তু ১০ হাত মাটির নিচে থেকে তথ্য বের করে নিয়ে আসা হবে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে এখন আর রাজনীতি করা চলবে না। স্বরোজগারী মানসিকতা আগে তৈরি হতে দিত না। স্বনির্ভর হওয়ার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু নেই। আর কোন রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বনির্ভরতা দরকার । আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যখন রাজ্যে জলপথের মাধ্যমে সমস্ত পণ্য আসবে তখন পন্যের মূল্য অনেকটা হ্রাস পাবে। আর সেই পথেই এগুচ্ছে রাজ্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য যেহেতু হয়েছে। করে যাব। ইতিহাস করে দেবে। এমনটাই চ্যালেঞ্জ করলেন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব। আর এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের মানুষ এখন শিখেছে স্বনির্ভরতা এবং স্বরোজগারি কিভাবে হওয়া যায়। আর আগে স্বরোজগারি মানে বুঝা হতো সরকারি চাকরি। আর এখন স্বরোজগারি হওয়ার মানে কি সেটা বুঝে গিয়েছে রাজ্যের মানুষ। আর এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বেকারত্ব সাড়ে সাত লক্ষ থেকে হ্রাস পেয়ে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫১১ জন রয়েছে বেরোজগারি। অথাৎ জনসংখ্যা অনুযায়ী ৫ শতাংশ বেরোজগারি রয়েছে রাজ্যে। বেরোজগারি দিকে ত্রিপুরা দেশে ১৭ তম স্থানে আছে। কিন্তু ভুল তথ্য প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করা ঠিক নয়। কিন্তু তথ্য প্রকাশ করার সময় চোখ বুলিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ভুল তথ্য প্রকাশ করলে রাজ্যের বদনাম হয়। সুতরাং পড়াশোনা করে তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, রাজ্যকে মডেল স্টেট হিসেবে গড়তে রাজ্য থেকে দিল্লী পর্যন্ত বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে সরলীকরণের আনা হয়েছে। ভোটার আই ডি কার্ড এবং আবেদনপত্র দাঁড়াই মিলছে ট্রেড লাইসেন্স। ২০১৭-১৮ সালে ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ট্রেড লাইসেন্স মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে এবং ২০১৯-২০ সালে ৩ কোটি ৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। আর এটা সম্ভব হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স সে সরলীকরণ করার ফলে। আর ট্রেড লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে এতটা যে সরলীকরণ করা হবে তা রাজ্য মানুষ কল্পনা করতে পারেনি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫১ হাজার ৯৭০ টি ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। আর আজকের ত্রিপুরা পরিবর্তন হয়েছে । সরকারের কাজ হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Exit mobile version