Site icon janatar kalam

ত্রিপুরা এনার্জি ভিশন ২০৩০ রোড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
আগরতলায় বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা এনার্জি ভিশন ২০৩০ রোড ম্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। বৃহস্পতিবার এর সূচনা করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী নতুন লাল নাথ। এদিন তিনি এনার্জি ভিশন ২০৩০ এর রোড ম্যাপ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানান যে, রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার আগে অর্থাৎ মার্চ ২০১৮ এর আগে রাজ্যে সোলার পাওয়ার প্লান্ট ছিল মাত্র ৬.৪ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের আমলে তা দাঁড়িয়েছে ১২.৪৫ মেগাওয়াট। বর্তমান রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা যে ২০২৫ এর মধ্যে সোলারের মাধ্যমে ১৩৫ মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি করা। ১৩০ মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার মৌ স্বাক্ষর করেছে। ডম্বুর লেইকে তা করা হচ্ছে বলেও এদিন জানান তিনি। ২০৩০ এর মধ্যে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ৫০০ মেগাওয়াট।তবে এর জন্য সময় লাগবে। সোলারের মাধ্যমে তা করা অনেকটা ব্যয়বহুল। তবে একবার হয়ে গেলে তা ক্লিন এনার্জি। সে জন্য এটার উপর বিদ্যুৎ দফতর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী। এদিন তিনি আরও জানান যে রাজ্যে ১১৫৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি আছে। সবগুলোকে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে পারলে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ মাসুল প্রায় নেই বললেই চলে। অনেকটা কমে যাবে। এই সময় অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ রাজ্যের শিল্প ক্ষেত্রে লাগানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।এদিন মন্ত্রী তুলে ধরেন গত পাঁচ বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কি কি উন্নতি হয়েছে। তিনি জানান ৩ টি নতুন ১৩২ কে ভি সাব ষ্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। ১৫৪ কি মি ১৩২ কেভি লাইন তৈরি হয়েছে।যাতে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। ২২ টি নতুন ৩৩ কেভি সাব ষ্টেশন তৈরি হয়েছে। যাতে ব্যয় হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা। ৩৯৯৩ কিমি নতুন এইচ টি লাইন তৈরি হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। ৯১২৭ কি মি নতুন এল টি লাইন তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা। ২১৮ কি মি নতুন আন্ডার গ্রাউন্ড কারেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে আগরতলা শহরকে প্রায়োরিটি দেওয়া হচ্ছে। সবটা শহর যাতে আন্ডার গ্রাউন্ড কারেন্ট করা যায়। বর্তমানে বিদ্যুতের যে সমস্যা হচ্ছে এই সমস্যা দূরি করনের জন্য আন্ডার গ্রাউন্ড কারেন্ট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপম্যান্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সম্প্রতি এবিষয়ে দিল্লীতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীর সাথেও কথা হয়েছে। পরিবেশ দফতরের ক্লিয়ারেন্স থাকলে বর্তমানে আগরতলায় আন্ডার গ্রাউন্ড যে ৬৩ মেগাওয়াট যা রয়েছে তাকে ১২০ মেগাওয়াট করে এই সমস্যা দূর করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এর জন্যই এই রোড ম্যাপ। যে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ নিগম চিন্তা ভাবনা করবে এবং এদিনের এই বৈঠক। এই বৈঠকে এদিন মন্ত্রি ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দফতরের সচিব ব্রিজেস পান্ডে, নিগমের এম ডি, সদ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Exit mobile version