জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মনিকার প্রেমে পড়ে মল্লিকাকে অসহ্য যন্ত্রণা দিচ্ছে দিলীপ। শেষ পর্যন্ত মনিকা আর দিলীপকে মধুচন্দ্রিমায় ঘরে গিয়ে ধরে ফেলে স্ত্রীমল্লিকা।পাড়ার লোকেরা দুই পুলিশ কর্মী প্রেমিক প্রেমিকাকে তুলে দিল পুলিশের হাতে। ঘরে স্ত্রী এবং দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যাকে রেখে সহকর্মী এক বিধবার প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসবি ব্রাঞ্চের কনস্টেবল কাম ড্রাইভার দিলীপ সরকার। প্রেমিকা বিধবা মনিকা পুলিশ সদর দপ্তরের গ্রুপ ডি কর্মী রিসিভ ডেসপ্যাচ সেকশনে কর্মরত। গত বছর ছয়েক ধরে ভাই বোনের সম্পর্ক বলে বাড়াবাড়িতেই মধুচন্দ্রিমায় মিলিত হতেন দুই পুলিশ কর্মী। এদিকে বাড়িতে স্ত্রী মল্লিকা আর দশম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যার দুর্ভোগের অন্ত নেই। স্বামী পুলিশের চাকরি করা সত্ত্বেও অভাব অনটন তাদের নিত্য সঙ্গী। মল্লিকা এ নিয়ে স্বামীকে কিছু বললেই বেধড়ক মারধর।কোন কোন সময় মনিকার সাথে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য স্ত্রী মল্লিকাকে ঘরে তালা বন্দী করেও রেখেছে। ছোট কন্যা সন্তান বাবাকে অনেক কাকুতি মিনতি করেও সাংসারিক করে তুলতে পারেনি। কারণ পুলিশ কনস্টেবল কাম ড্রাইভার দিলীপ পুলিশের ওই গ্রুপ ডি কর্মী মনিকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। নিজের অবুঝ মেয়েকে নিয়েও ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মনিকার সাথে অনেক জায়গায় রাত কাটিয়েছে।সে কথা বলতে বলতে দু চোখ ভেসে অঝুরে জল ঝরছে স্ত্রী মল্লিকা বিশ্বাস সরকারের। সোমবার সন্ধ্যা রাতেই রাজধানীর আগন্তক ক্লাব সংলগ্ন মনিকা দেবনাথ এর ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে দিলিপের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় লিপ্ত মনিিকাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্ত্রী মল্লিকা ও প্রতিবেশী লোকেরা। অসহায় মনিকার অভিযোগ, স্বামী দিলীপ বেশ কয়েকবার তার হাতের শাখা ভেঙ্গে দিয়েছে। বারবার তাকে চাপ সৃষ্টি করছে ডিভোর্স হওয়ার জন্য। এমনকি প্রেমিকা পুলিশ কর্মী মনিকা দিলিপের গলায় জড়িয়ে ধরে তার স্ত্রীর সামনে দাবি করছে তাকেও বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। একথা বলতে বলতে হাঁপিয়ে উঠছে মল্লিকা বারবার চোখ মুছে কাপড়ের আঁচল দিয়ে। স্বামীর হাতের অমানবিক অত্যাচার ও দুর্ব্যবহার পেয়ে শোকে এক প্রকার পাথর হয়ে গিয়েছে অসহায় মল্লিকা। সে চাইছে এখন শুধু মেয়েকে নিয়ে যাতে বাকিটা জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারে। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতেও সতী নারীর মন কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে বলছে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আজ বাধ্য হয়েছি স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলতে।সোমবার সন্ধ্যা রাতে দুই পুলিশ কর্মীর মধু চন্দ্রিমার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ছি ছি রব পড়তে থাকে।স্থানীয় ক্লাব ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মল্লিকা হয়তো সুবিচার পেতে পারে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বারবার প্রতিবেশী ও ক্লাব সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে অসহায় নির্যাতিত অবলা নারী মল্লিকা।