Site icon janatar kalam

রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে : মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে সমগ্র রাজ্যে প্রতিটি বাড়ির প্রত্যেক পরিবারে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জ্বলের সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে ৬০.৮৬ শতাংশ পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৯.১৪ শতাংশ পরিবারে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্ত (পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান) মন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যে সর্বমোট পরিবার রয়েছে ৯,৫৫,৮৫৩টি। এর মধ্যে এ পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৬৪.২১ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৪৯.২০ শতাংশ পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক জীতেন্দ্র চৌধুরীর অন্য এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্ত (পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান) মন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা জানিয়েছেন চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ৪,৩৯, ১১৩টি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অটল জলধারা মিশনের আওতায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গ্রামাঞ্চলের ৫,২৫১টি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট থেকে জলজীবন মিশন নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু হয় এবং এতে অটল জলধারা মিশন মিশে যায়। জলজীবন মিশনে সব মিলিয়ে গ্রামঞ্চলের ৪,৩৩,৮৬২টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুর্ত (পানীয় জল ও স্বাস্থা বিধান) মন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা জানান, বর্তমানে রাজ্যে পাহাড়ী অঞ্চলগুলিতে জলজীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে পাহাড়ী অঞ্চলের জন্য বিশেষ একটি উদ্যোগ হচ্ছে ইনোভেটিভ প্রকল্প। অর্থাৎ উদ্ভাবনী পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে প্রকল্প স্থাপন করে পানীয় জল সরবরাহ করা। যে সমস্ত পাহাড়ী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেই বা যান চলাচলের কোন সুযোগ নেই সেখানেই এই ইনোভেটিভ প্রকল্প স্থাপন করা হয় বা হচ্ছে। কিছু কিছু পাহাড়ী অঞ্চলে বৃষ্টির জল দ্বারা পরিপূর্ণ স্বাভাবিক জলাধার থাকে এবং কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির জলকে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য জলাধার তৈরী করা হয়েছে বা হচ্ছে। সেই সমস্ত জলাধারকে কেন্দ্র করে ইনোভেটিভ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে পাহাড়ী অঞ্চলের বাড়িগুলিতে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে এবং আরও কিছু ইনোভেটিভ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
হট এটি হবে এটি একটি করে ২য় পাতায়
বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুর্ত (পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান) মন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা জানান, জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় ৫৮-৭টি ভিলেজ কাউন্সিলের প্রতিটি পরিবারে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঐ সমস্ত এডিসি এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনুযায়ী গভীর নলকূপ, স্বল্প ব্যাসের অগভীর নলকূপ, জল পরিশোধনাগার ইত্যাদি প্রকল্প করা হচ্ছে। তাছাড়া পাহাড়ী অঞ্চলে জলাধার, নালা, ছড়াকে কেন্দ্র করে উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে জলাধার তৈরী করা আছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল রয়েছে সেই জলাধারকে কেন্দ্র করে ইনোভেটিভ প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version