জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-
দিবাঙ্গজনদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। যার সুযোগ গ্রহণ করছেন এখন দিবাঙ্গজনেরা। শংসাপত্রে ৮০ শতাংশ এমন রাজ্যের ৯৩ জন দিবাঙ্গজন এবার নতুন করে পেলেন ব্যাটারি চালিত ট্রাই সাইকেল। সম্পূর্ণ বিনা খরচে সরকারি অর্থে এই চলন সামগ্রী পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত দিবাঙ্গজনেরা। সোমবার এমনটাই দেখা গেল নরসিংগড় স্থিত সি আর সি এস আর ই প্রাঙ্গণে। কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর লোকোমোটর ডিজেবিলিটিস ও ত্রিপুরা সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় এদিন অনুষ্ঠিত হয় এক সামাজিক অধিকারিতা শিবির। এদিনের এই শিবিরে এ ডি আই পি প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৯৩ জন দ্বিবাঙ্গজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ব্যাটারি চালিত ট্রাই সাইকেল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হয় মোট ৪৫ লক্ষ টাকা। যাদের শংসাপত্র আশি শতাংশ রয়েছে তারাই পেলেন এই ট্রাই সাইকেল। নতুন এই চলন সামগ্রী পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সুবিধাভোগিরা। এদিনের এই সামাজিক অধিকারিতা শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এছাড়াও ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সহ প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে দিবাংজনদের হাতে ট্রাই সাইকেল তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিক জানান, দিবাঙ্গজনদের মধ্যে যাদের আশি শতাংশ শংসাপত্র রয়েছে তারা প্রত্যেকেই এই সাইকেলের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া কৃত্রিমভাবে যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ লাগাতে ইচ্ছুক তারাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সুযোগ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি দিবাঙ্গজনদের প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এই ট্রাই সাইকেল এর মাধ্যমে দিবাঙ্গজনেরা এখন আর পরিবারে বোঝা থাকবে না। এর মাধ্যমে তারা রোজগার করতে পারবে। তবে যাদের চালানোর ক্ষমতা আছে তাদেরকেই দেওয়া হবে এই ট্রাই সাইকেল।