জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভারতে পরিসংখ্যানের জনক হলেন অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দ্ৰ মহলানবিশ। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ
ও গবেষক। ১৯৩১ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটে পরিসংখ্যানের আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ভারত সরকার তাকে ১৯৬৮ সালে পদবিভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন। পরিসংখ্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আল রাজ্য অতিধিশালায় অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত পরিসংখ্যান দিবসের উদ্বোধন করে একথা বলেন। আজ প্রয়াত অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দু মহালানবিশের ১৩০ তম জন্মজয়ন্তী । অনুষ্ঠান শুরুর আগে গতকাল কুমারঘাটে উল্টোরথে দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ১৭তম পরিসংখ্যান দিবসের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মী বলেন, সারা দেশ আজ এই দিবসটি পালন করছে। তিনি বলেন, মহলানবিশ বিশ্বাস করতেন যে, পরিসংখ্যান জাতীয় পরিকল্পনার গতিশীলতার একটি অবিচ্ছেদ অংশ। ১৯৫০ সালে তিনি সর্বভারতীয় ভিত্তিতে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের রাজ্যে ৪ জেলায় অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের অফিস রয়েছে। আরও ৪ জেলায় চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্তা অধ্যাপক প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশের শিক্ষা ও কর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চায়েত দপ্তরের অধিকর্তা এন. দার্লং, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা স্মিতা মল্, অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের অধিকর্তা নগেন্দ্র দেববর্মা এবং ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. রাজনাথ স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের মুগা অধিকর্তা এল. এস. দার্লহ। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান দপ্তরের মন্ত্রী দপ্তরের ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম চালু করেন। তাছাড়াও মন্ত্রী দপ্তরের তিনটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। এই ৩টি বইয়ে ত্রিপুরার সমস্ত দপ্তরের পরিসংখ্যানগত তথ্য অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এতে জনগণের জন্য যে পরিকল্পন রয়েছে সেগুলি বাস্তবায়নেও পদক্ষেপ নেওয়া
হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীসহ অতিথিগণ প্রয়াত অধ্যাপ্ত মহলানবিশের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এবছর পরিসংখ্যান দিবসের মূল থিম হলো- ‘এলাইনমেন্ট অব স্টেট ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্ক উইদ ন্যাশনাল ইন্ডিকেটর ফ্রেমওয়ার্ক ফর মনিটরিং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকশণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ – বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এ কে চন্দ। সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দপ্তরের পরিসংখ্যানবিদ সংগীতা তলাপাত্র।