জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর সরকার। এটা শুধু মুখে বলা নয়, বাস্তবে করে দেখাবে বর্তমান সরকার। শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন না করে কি করে স্কুলের মধ্যে আরও বাড়তি মনোযোগ দেওয়া যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা।প্রাইভেট টিউশন ছাত্রছাত্রীদের মাথার উপর একটি বাড়তি বোঝা। স্কুল শেষ করেই না খেয়েই অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউটরের বাড়িতে দৌড়াতে হচ্ছে। প্রাইভেট টিউটর আর স্কুল এই করতে করতেই অনেক ছাত্র-ছাত্রী মানসিক রোগীও হয়ে যাচ্ছে। এটাকে যে করেই হোক বন্ধ করতেই হবে। শুধু আইন করে নয় প্রয়োজনে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে প্রাইভেট টিউশন বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেননা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাটের পয়সা খরচ করে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদেরকে পাঠাচ্ছে। এই পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে বিদ্যালয়গুলিতে যদি সঠিকভাবে পঠন-পাঠনে মনোযোগী হয়, তাহলেই ছেলেমেয়েদের ভালো পড়াশোনা হবে। শুক্রবার রাজধানীর মহারানী তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক বিভাগের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বললেন, অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষকদেরকেউ আমরা আগামী দিনে দেখব, কি করে তারা টিউশন করে। কারণ আইন আছে আইনের জায়গায়, আইন দিয়ে সবকিছু হবে না, শিক্ষকদের সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই আমরা চাই আগে থেকেই যাতে শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনের নেশা থেকে সরে দাঁড়ায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে বলেন, আমি অবাক হচ্ছি অনেক সময়, নেশা মুক্ত ত্রিপুরার জায়গায় নেশা যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে কি করে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারাও। যদি স্কুলের ভিতর কোন ছাত্রছাত্রীকে অ্যাড নরমাল অবস্থায় দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষক অভিভাবকদের নজরে নিতে হবে বিষয়টি। তবেই এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত বহু আগে থেকেই রাজ্য সরকার সরকারি শিক্ষকদের কর্তৃক প্রাইভেট টিউশন বন্ধের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।কিছু কিছু শিক্ষক সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিলেও অধিকাংশ সরকারি শিক্ষক চুটিয়ে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছে। সেগুলিকে বন্ধ করতে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক প্রত্যেকেই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনের প্রতি আসক্তি কমিয়ে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে।