জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বর্তমান নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইল, লেপটপ, কম্পিউটার নিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করে। যোগা সম্পর্কে তাদের কোনও আগ্রহই নেই। অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের যোগায় আসক্তি করতে নজর দিতে হবে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা। সারা বিশ্ব তথা দেশের সাথে রাজ্য নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস।রাজধানীতে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে হাঁপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলার মাঠের ইনডোর হলে। এখানে যোগায় অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা সহ রাজ্য সরকারের সচিব, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রাজধানীর এনএসআরসিসি তে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এখানে ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসহ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যোগায় অংশগ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা আন্তর্জাতিক মেলার মাঠের ইনডোর হলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্তমান নব প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য এক প্রকার আক্ষেপ করে বলেন নব প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা যোগা সম্পর্কের সম্যক ধারণা টুকু নিতে চাইছে না। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি শুধুমাত্র মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।তাদেরকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে এনে যোগায় আসক্ত করার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবকদের। তবেই নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান মেধাবী হবে ছেলেমেয়েরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র যোগার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে নিরাময় পেতে পারি। ডায়াবেটিস, হার্ট, মানসিক অবসাদের মত রোগ গুলিকে খুব সহজেই যোগার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করা প্রত্যেকটা মানুষের প্রধান কর্তব্য। এদিন যোগা দিবস পালিত হয়েছে নয় বনমালীপুর বিজেপি মন্ডল কমিটির উদ্যোগেও। এখানে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এলাকার যুবক-যুবতী ও অভিভাবকদের নিয়ে যোগ ব্যয়াম করেন রাজীব ভট্টাচার্য। শ্রী ভট্টাচার্য এদিন রাজধানীর এনএসআরসিসিতেও যোগায় অংশগ্রহণ করেছেন। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনের সারা দিয়ে গোটা বিশ্ব আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের ঘোষণা দিয়েছে।আজকের দিনে একই সঙ্গে গোটা বিশ্বে যোগাভ্যাসের মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালনের উদ্দেশ্যে গত এক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সরকারি ও বেসরকারি স্তরে চর্চা চলছে। রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার গোটা রাজ্যে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের আয়োজন করা হয়। যোগায় অংশগ্রহণ করেছে সমাজের সকল অংশের মানুষজন। এ বছর যোগায় প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সেলফ হেল্প গ্রুপের মহিলারা অংশগ্রহণ করেছে।