জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ১৪ বছর মানিক সরকার চেপে বসে রয়েছিল পবিত্র সরকার কমিশনের রিপোর্টের ওপর। যার ফলে রোমান হরফে আর ককবরক স্ক্রিপ্ট লেখার অনুমোদন মেলেনি। বিজেপি আইপিএফটি সরকারও বর্তমানে তাতে আমল দেয়নি। অভিযোগ বিকাশ রায় দেববর্মার। রোমান হরফে ককবরক ভাষায় স্ক্রিপ্ট লেখার অনুমোদন নিয়ে ককবরক ভাষাভাষীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। পরিতাপের বিষয় হল সবকটি রাজনৈতিক দল ককবরক ভাষাভাষীদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মত্ত থাকলেও তাদের ন্যায্য ভাষার অধিকার সম্পর্কে কখনও ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। বিগত জোট সরকারের আমলে প্রয়াত শ্যামাচরণ ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করে কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তখনও শ্যামাচরণ ত্রিপুরা রিপোর্ট দিয়েছিল রোমান হরফে ককবরক স্ক্রিপ্ট করার পক্ষে। দুর্ভাগ্য তৎকালীন জোট সরকার সেটাকে কার্যকরী করেনি। পরবর্তী সময় বামফ্রন্ট সরকার যখন আবার ক্ষমতায় ফিরে এল তখন পবিত্র সরকার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশনের রিপোর্টেও বলা হয়েছিল ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ চাইছে রোমান হরফে ককবরক স্ক্রিপ্ট করা হোক। আর বাকি ৪ শতাংশ কোন মতামত দেয়নি। বাকিরা চেয়েছিল বাংলা স্ক্রিপ্ট হোক। দেখা গেল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার টানা চোদ্দ বছর পবিত্র সরকার রিপোর্টের উপর চেপে বসে রয়েছিল। কার্যকরী করার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকারও সেদিকে নজর দিচ্ছে না। তাই ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে রোমান ক্রিপ্ট ফর ককবরক চুবা। জানিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় দেববর্মা। শ্রী দেববর্মা আরও জানান, মোট ৫৬ টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকার যদি অনতিবিলম্বে তার কোন সুষ্ঠু পদক্ষেপ না গ্রহণ করে, তাহলে বাধ্য হবে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার রূপরেখা তৈরি করতে। রাজধানীর উত্তর গেটে সকাল থেকেই ককবরক ভাষাভাষী সংগঠনগুলির যৌথ উদ্যোগে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে ককবরক ভাষাভাষীর কবি সাহিত্যিক, শিল্পী বুদ্ধিজীবী সকল অংশের মানুষ সমবেত হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছে।