Site icon janatar kalam

ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ :মানিক

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের সমাজ জীবনে যে কোন জায়গায় অর্থাৎ যে বিভিন্ন স্থান রয়েছে তার সবখানেই রবীন্দ্রনাথ বিরাজমান। রবীন্দ্র স্মৃতিচারণায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা : মানিক সাহা। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের পঁচিশে বৈশাখ এমনই দিনে মুহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর কুল আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান ছিল। পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়িতেই ছোট্ট রবীন্দ্রের বিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। সেই রবীন্দ্র নাথ বড় হয়ে সারা বিশ্ববাসীর মন জয় করেছিল। রবীন্দ্রনাথকে ছাড়া বর্তমান সমাজব্যবস্থায় কোন কিছুতেই ভাবা যায় না। মঙ্গলবার বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 162 তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত রাজধানীর রবীন্দ্র কাননে আয়োজিত প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। এখানে রবীন্দ্রনাথের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আমরা বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় তার চিন্তা ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। রবীন্দ্র ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে। তবেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণা প্রত্যেকের জীবন বিকাশে উপলব্ধ হবে।রবীন্দ্র নাথ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি এবং গর্বিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দু দুটি গান আজকে ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে পরিবেশিত হচ্ছে। তাছাড়াও আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ত্রিপুরার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা আত্মিক সম্পর্ক ছিল।যার টানে তিনি বারবার ত্রিপুরায় ছুটে আসতেন।ত্রিপুরার 4—4 জন রাজার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধুর সম্পর্ক ছিল। ত্রিপুরার রাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভারত ভাস্কর উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৭০ এর দশকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগের রবীন্দ্রনাথের প্রভাতী অনুষ্ঠান হতো বর্তমান রবীন্দ্রভবনের আম্রকুঞ্জে, সেখানে ছোটবেলায় মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য কবিতাটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে পড়েছিলেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অনুমতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবারও সেই কবিতাটি ইংরেজিতে পড়ে শুনান। এ দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীদের নাচ গানের পাশাপাশি কচিকাঁচারাও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, তথ্য দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী , অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, পশ্চিম জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।

Exit mobile version