জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- পশু হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখতে গিয়ে তাজ্জব বনে যান বিধায়ক সুশান্ত দেব। উপরে ঘুরছে পাখা নিচে টেবিল চেয়ার ফাঁকা। দেখা নেই কর্মচারীদের। চটে গিয়ে বিধায়কের নির্দেশ এসব আর বরদাস্থ করা হবে না। বিশালগড় মহকুমায় মানুষের হাসপাতালের পরিষেবা ও পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল সাধারণ মানুষের। বিশালগড় মহাকুমা হাসপাতালে সাধারণ অস্বস্তি নিয়ে রোগী আসলেও সোজা রেফার করে দিচ্ছে আইজিএম অথবা জিবি হাসপাতালে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে দিচ্ছে। পাশাপাশি একই হাল পরিলক্ষিত হচ্ছে মহকুমা পশু হাসপাতালে। হাসপাতালে গবাদি পশু নিয়ে আসলে সময় মত পাওয়া যাচ্ছে না চিকিৎসকদের। আবার বাড়িতে কল করে নিলে সরকারি ডাক্তারদেরও দিতে হচ্ছে পকেট মানি। নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এ জাতীয় অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার মহকুমা পশু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান এলাকার বিধায়ক সুশান্ত দেব। সঙ্গে ছিলেন মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস। পশু হাসপাতালে অধিকাংশ রুমই ছিল ফাঁকা।।দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক ও আমলা আধিকারিকদের অধিকাংশই অনুপস্থিত। মহকুমা পশু হাসপাতালের এ ধরনের পরিস্থিতি দেখে রীতিমত চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় মহাকুমা শাসক ও বিধায়কের। ক্ষেপে গিয়ে বিধায়ক বলেন, হাসপাতালটি চলবে কিভাবে ? সেটা আপনারাই বলতে পারেন। বিধায়ক হাসপাতালের প্রতিটি রুম পরিদর্শন করে একই চিত্র দেখলেন। কথা বলেন হাসপাতালে আসা গবাদি পশুর মালিকদের সাথে। একই সঙ্গে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এখন থেকে। প্রসঙ্গত বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থান পরিদর্শন করেছেন। বিধায়কের এই পরিদর্শনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী দিনে এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সরকারি অফিস গুলির কর্মসংস্কৃতি অনেকটাই ফিরে আসবে বলে ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ।