জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে গত বছর ১০৫ কোটি টাকা কর এসেছে রাজ্যের কোষাগারে। প্রতিমাসে প্রায় ছয় কোটি টাকা কর আদায় হচ্ছে শুধুমাত্র চুড়াইবাড়ি থেকে। জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রাজ্যের কোষাগারকে আরও স্ফীত করতে তদ্দির শুরু করেছেনয়া পরিবহন মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যের প্রধান কর আদায় কেন্দ্র চোরাইবাড়ি সফরে গিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়। দুই মন্ত্রী পরিদর্শন করলেন সেলটেক্স কমপ্লেক্স এলাকা। কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলেন মন্ত্রীদ্বয়। সকাল এগারটায় প্রথমে চোরাইবাড়ি পৌঁছেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। অর্থমন্ত্রী সেলটেক্স ,পরিবহন দপ্তর সহ বহির রাজ্য থেকে রাজ্যে প্রবেশ করা গাড়ি গুলি সঠিক ভাবে চেকিং হচ্ছে কিনা তার সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখলেন। পরবর্তী সময়ে বিক্রয় কর দপ্তর ও পরিবহন দপ্তরের উচ্চ আধিকারিকদের নিয়ে এক জরুরী বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ন্যায্যকর কর সঠিকভাবে তোলা হচ্ছে কিনা পাশাপাশি পরিকাঠামো গত কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্যই চুড়াইবাড়ি চেকপোট সফর। অর্থমন্ত্রী উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকসহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোনও কারণেই যাতে রাজ্য সরকারের কর ও জিএসটি ফাঁকি না দিতে পারে ব্যবসায়ী সহ পরিবহন সংস্থার সঙ্গে জড়িতরা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় চোরাই বাড়িতে পৌঁছার আধ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। শ্রী চৌধুরীও কমপ্লেক্সের পরিবেশ পরিস্থিতি ও কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা সে বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত হন। পাশাপাশি ওয়েট ব্রিজ গুলো মেরামতি সহ রাস্তা মেরামত করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন। পরিবহন মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের মূল রাজস্বের উৎস হচ্ছে চুড়াইবাড়ি চেকপোস্ট। গত এক বছরে পরিবহন দপ্তর থেকে রাজ্য সরকারের কোষাগারে কর জমা পড়েছে ১০৫ কোটি টাকা। প্রতি মাসে চুড়াইবাড়ি চেকপোস্ট থেকে রাজ্য সরকারের কর আদায় হচ্ছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। সার্বিক কারণেই রাজ্য সরকার তার এ সংক্রান্ত পরিষেবা গুলির দিকেও তদারকি করছে। পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এদিন আরও বলেন, রাজ্যের প্রবেশধার চুড়াইবাড়ি গেট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় 300 র উপরে গাড়ি রাজ্যে প্রবেশ করছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরের একটা বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে সেই স্থানের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন দিকগুলি খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি সঠিকভাবে গাড়ি গুলি রাজ্য সরকারকে কর দিয়ে প্রবেশ করছে কিনা সে বিষয়গুলোর উপরও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে একইদিনে উত্তর জেলায় দুই মন্ত্রীর সফরকে ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে ছিল জোর তৎপরতা|প্রশাসনের সমস্ত আমলা আধিকারিকরা এদিন মন্ত্রীদের পৌরহিত্যে প্রশাসনিক বৈঠকে মিলিত হয়।