জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সমস্যা মিটে গেল সিপাহীজলা জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের। জমিদাতাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেন মন্ত্রি শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। ২০১৭ সালের আগে ত্রিপুরা রাজ্যে জহর নবোদয় বিদ্যালয় ছিল মাত্র তিনটি। সারা রাজ্যের গ্রামে বসবাসকারী প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেত ।সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থানুকূলে । শিক্ষাকে ছাত্র-ছাত্রীদের আরও কাছাকাছি হাতের নাগালে করে দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে সিপাহীজলা জেলায় নবোদয় বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়। ২০১৭ সালে সিপাহীজলা জেলার গাবরদিতে আসাম রাইফেলস এর একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পে এই বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। আস্তে আস্তে সিপাহীজলা জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের নিজস্ব ঠিকানা টাকারজলাতে মোট ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সুদৃশ্য বিদ্যালয় এবং হোস্টেল গড়ে তোলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় পাকা বাড়িটি তৈরি হলেও এই বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন টাকারজলা এলাকার মোট ১৩ জন লোক। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সেই সময় তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেবেন কিন্তু এই ১৩ জন লোক আজ পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ পাননি। সেই জন্য তারা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন কিন্তু আজকে পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে তারা বিদ্যালয়ে মূল ফটক বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ না পেলে বিদ্যালয় চালু করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য সোমবার নবোদয় বিদ্যালয়ের টাকারজলা পাকা বাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক জম্পুইজলা মহাকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ও বিদ্যালয়ের জমিদাতা পরিবারের লোকজন সহ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক গন। এই সভায় উপস্থিত থেকে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া জানান অতিসত্বর জমিদাতা পরিবারদের হাতে তাদের ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকারের তরফে তুলে দেওয়া হবে এবং অতিসত্বর জহর নবোদয় এর সর্ব সুবিধাযুক্ত পাকা বাড়িটি উদ্বোধন করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেবেন। এদিকে মন্ত্রীর এই আশ্বাস পেয়ে জমিদাতা ১৩ পরিবারের লোকজন সহ অভিভাবক মহলে খুশির হাওয়া বইছে। সমস্যার সমাধান হল বাম আমলের।