জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে।করোনার দৈনিক সংক্রমণ থেমে নেই। কৈলাশহর আগরতলা সহ দশ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে।তবে সরকারি তথ্যে গত ২৪ ঘন্টায় দুজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আগরতলার পর করোনা ভাইরাস থাবা বসালো কৈলাশহরে। শহরের বৌলাপাশা এলাকায় আক্রান্ত আট মাসের শিশু, চাঞ্চল্য গোটা জেলা জুড়ে। সাতাশ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় এব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঊনকোটি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার সার্ভিলেন্স অফিসার ড: শংখ শুভ্র দেবনাথ এখবরটি জানান। উল্লেখ্য, পনেরোই এপ্রিল থেকে ছাব্বিশ এপ্রিল পর্যন্ত ঊনকোটি জেলায় আটজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।চৌদ্দই এপ্রিল প্রথম ঊনকোটি জেলার পেঁচারথলের নবীন ছড়া এলাকার দুজন স্বাস্থ্যপরিসেবা গ্রহণ করার জন্য উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালে গেলে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তী সময় তাদের সূত্রধরে আঠারো এপ্রিল একই পরিবারের তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। চব্বিশ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কৈলাসহরের জগন্নাথপুর গ্রামের 37বছরের এক যুবক ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসলে পরীক্ষায় যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে পঁচিশ এপ্রিল গৌরনগর ব্লকের বাবুর বাজারের এক যুবক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহন করতে গেলে পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের বিষয় সুনিশ্চিত হয়। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল বৃহস্পতিবার ছাব্বিশ এপ্রিল কৈলাসহরের রাজিব গান্ধী মেমোরিয়াল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে আসলে আট মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এব্যাপারে ঊনকোটি জেলার সার্ভিলেন্স অফিসার চিকিৎসক শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ জানান, সমস্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর অবগত রয়েছে। আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। আক্রান্তদের কন্টাক্ট সেম্পল নেওয়া হয়েছে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। লক্ষণ দেখা দিলে কিংবা কোন ধরনের সন্দেহ হলে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করার আহ্বান রাখেন ডাক্তার। ডাক্তার দেবনাথ আরও জানান যে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী চলতি মাসে ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মগ ডিল সম্পূর্ণ হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টি জেলাশাসক সহ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন রাজ্যবাসী কোভিড আতঙ্ক মুক্ত থাকলেও বর্তমানে রাজ্যে বেশ কয়েকটি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।অন্যদিকে আগরতলায় চার জন ঐ রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। ফলে গোটা রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫। স্বাস্থ্য দপ্তরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় আরটিপিসি আরে ৪৯ জন এবং রেপিড এন্টিজেন এর মাধ্যমে ১০২৪ জন, মোট ১০৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে রেপিড এন্টিজেনের মাধ্যমে দুজনের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে।ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার বর্তমানে কমে হয়েছে ০.১৯।